নেপালের প্রধানমন্ত্রী ও সাবেক মাওবাদী গেরিলা কমান্ডার পুষ্পকমল দহল প্রচণ্ড সংসদীয় আস্থা ভোটে হেরে গেছেন। এর ফলে হিমালয় প্রজাতন্ত্রের দেশটিতে নতুন নেতৃত্ব আসতে চলেছে।
শুক্রবার (১২ জুলাই) ভোটে হেরে যাওয়ায় শেষ হতে চলেছে তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়া প্রচণ্ডের ২০ মাসের মেয়াদ। যদিও নেপালে দশকব্যাপী গৃহযুদ্ধের সময় হাজারো বিদ্রোহীর নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।
২০২২ সালের ডিসেম্বরে তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন ৬৯ বছর বয়সী এই নেতা। তবে জোট মিত্ররা সমর্থন প্রত্যাহার করায় তাকে এখন পদত্যাগ করতে হবে।
দেশটির উদারপন্থী কমিউনিস্ট ইউনিফায়েড মার্ক্সবাদী-লেনিনবাদী (ইউএমএল) পার্টি গত সপ্তাহে প্রচণ্ডের সরকারের প্রতি সমর্থন প্রত্যাহার করে। ফলে তিনি পদত্যাগ করতে বা পার্লামেন্টে তার সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে বাধ্য হন।
ক্ষমতা ধরে রাখতে ২৭৫ সদস্যের সংসদে প্রচণ্ডের কমপক্ষে ১৩৮ ভোট প্রয়োজন ছিল। এদিন পার্লামেন্টে উপস্থিত ২৫৮ জন সদস্যের মধ্যে মাত্র ৬৩ জন তাকে ভোট দেন। ১৯৪ জন তার বিপক্ষে ছিলেন এবং একজন ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকেন।
পার্লামেন্টের স্পিকার দেব রাজ ঘিমিরে ব্যালট গণনা করার পরে ঘোষণা করেন, প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ডকে আস্থা ভোটে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। এখন প্রচণ্ড পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য সংসদীয় ভোট না হওয়া পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পদে বহাল থাকবেন। শিগগির এ ভোট সম্পন্ন হবে।
ইতোমধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মার অধীনে জোট সরকার গঠন হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। নেপালের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন ২০২৭ সালে হওয়ার কথা।