মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৮ মাঘ ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

শুটিংয়ে অলিম্পিক পদক পাওয়া মানু শুটারই হতে চাননি

আপডেট : ৩০ জুলাই ২০২৪, ০৯:৪৫ পিএম

একই অলিম্পিকে দুটি পদক জিতেছেন মানু ভাকের। শুটিংয়ে তিনি জিততে পারেন আরও একটি। তবে এই ভারতীয় ছোটবেলায় শুটিং নয়, অন্য পাঁচটি খেলাকে ভালবেসেছিলেন। বিভিন্ন খেলায় জাতীয় গেমসে পদকও জিতেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বেছে নেন শুটিংকে। কারণ তার চোখে চোট লেগেছিল। সেই চোট না লাগলে হয়তো অন্য কোনো খেলায় অলিম্পিকে ভারতের জার্সি গায়ে জড়াতেন মানু।

১৪ বছর বয়সে শুটিং শুরু করেন তিনি। তার আগে বক্সিং, টেনিস, স্কেটিং, ভলিবল, মার্শাল আর্টসের মতো খেলায় যুক্ত ছিলেন। জাতীয় গেমসে বক্সিং, টেনিস এবং স্কেটিংয়ে পদকও আছে তার। তা হলে শেষ পর্যন্ত শুটিংকে কেন বেছে নিলেন তিনি?

স্কুলে ভলিবল খেলতে গিয়ে চোখে চোট লাগে মানুর। ছোটবেলা থেকে বিভিন্ন খেলায় পারদর্শী হলেও তিনি বাধ্য হয়েছিলেন এমন খেলা বেছে নিতে যেখানে শারীরিক সংঘর্ষ নেই। তাই বক্সিং, টেনিস, স্কেটিং, ভলিবল ছেড়ে বেছে নেন শুটিং। চোখে চোট লাগলেও লক্ষ্য এখনও স্থির তার। দ্রুত উন্নতি করেন শুটিংয়ে।

মানুর বয়স এখন ২২ বছর। অর্থাৎ, মাত্র আট বছর শুটিং করেই দেশকে অলিম্পিক পদক এনে দিলেন তিনি। টোকিও অলিম্পিকে বন্দুক ঠিক থাকলে হয়তো আরও তিন বছর আগেই অলিম্পিক পদক জিততে পারতেন মানু।

২০০২ সালে হরিয়ানার ঝাঁঝরে জন্ম মানুর। তার বাবা রামকিশন ভাকের ছিলেন মার্চেন্ট নেভির ইঞ্জিনিয়ার। মা সুমেধা একটি স্কুলের প্রিন্সিপাল। সেই স্কুলেই পড়াশোনা করেছেন মানু। ২০১৬ সালে প্রথমবার বন্দুক হাতে নেন তিনি। সেই বন্দুকটার দাম ছিল এক লাখ ৮০ হাজার টাকা। মাত্র ১৪ বছর বয়সে ২৫ কিলোমিটার দূরে একটি শুটিং রেঞ্জে অনুশীলন করতে যেতেন মানু। প্রতি দিন পাঁচ ঘণ্টা করে অনুশীলন করতেন।

মানু প্রচণ্ড পরিশ্রমী। কোচ বললে সারা দিন অনুশীলন করে যেতে পারেন। সেই সঙ্গে লক্ষ্যে স্থির থাকতে পারেন। ঠান্ডা মাথায় নিজের কাঙ্ক্ষিত ফলের জন্য লড়াই করে যান। উন্নতি করার চেষ্টা করেন। যোগা করতে পছন্দ করেন মানু। সেটারই ফল পান শুটিং রেঞ্জে।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত