মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৮ মাঘ ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

প্রজন্মের পরম্পরা

আপডেট : ০১ আগস্ট ২০২৪, ১২:৩৭ এএম

কালপ্রবাহের কোন মোড়ে, কোন ভূ-রাজনৈতিক চিহ্ন ও ঐতিহাসিক সিলমোহর নিয়ে আপনি দুনিয়ায় প্রবেশ করলেন তার ওপর অনেকটাই নির্ভর করে আপনার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য এবং জীবনের গতিবিধি। তবে একজন ব্যক্তি কোন প্রজন্মের অন্তর্ভুক্ত বিষয়টি পারিবারিক থেকে সামাজিক গণ্ডি পেরিয়ে বৈশ্বিক হয়ে ওঠার ঘটনাটি খুব পুরনো নয়। উনিশ শতকের আগেও প্রজন্ম বলতে মোটা দাগে বংশগতিই বোঝানো হতো। ১৮৬৩ সালে প্রথম ফরাসি অভিধান রচয়িতা এমিল লিত্রে প্রথম প্রজন্মকে সংজ্ঞায়িত করেন, ‘একটি নির্দিষ্ট সময়ে সমাজে সহাবস্থানকারী সব মানুষ’ হিসেবে। উনিশ শতক থেকেই পৃথিবীর নানা প্রান্তে পারিবারিক কর্র্তৃত্বের বাইরে বৃহত্তর সামাজিক উদ্দেশ্য তরুণদের অনুপ্রাণিত করতে শুরু করে। ধর্ম ও রাজতন্ত্রকে এড়িয়ে গণ-অংশগ্রহণনির্ভর রাষ্ট্রব্যবস্থা ঠাঁই করে নিচ্ছিল আর সেই সঙ্গে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে তরুণদের সংশ্লিষ্টতা বাড়ছিল। বিশ শতকে শিল্পায়ন, আধুনিকায়ন এবং পশ্চিমায়নের ফলে প্রজন্মের ধারণা ব্যাপ্তি পেতে শুরু করে এবং প্রজন্মগুলোকে দলভুক্ত করার প্রয়াস শুরু হয়। যে কোনো সমাজ বা রাষ্ট্রের ইতিহাসকে আকার দেওয়ার ক্ষেত্রে একটি প্রজন্ম গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখে বলেই মনে করছিলেন সমাজবিদরা। তবে এ সংজ্ঞায়ন অন্তত তিন প্রজন্ম পর্যন্ত কেবল পশ্চিমা বিশ্বেই সীমাবদ্ধ ছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই মূলত প্রজন্মের সংজ্ঞার আওতায় আনা হয় গোটা বিশ্বকে।

বুমার (১৯৪৬-১৯৬৪)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী বিপর্যস্ত পৃথিবীব্যাপী জন্মহারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায়। এ সময় জন্ম নিয়েছেন যারা তাদের তাই ডাকা হয় বেবি বুমার বা বুমার। কৈশোর কিংবা তারুণ্যে তারা দেখেছেন চরম রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আদর্শিক দ্বন্দ্ব। সোভিয়েত ইউনিয়ন ও পশ্চিমা ব্লকের শীতলযুদ্ধের হাওয়ায় বৈষম্যের বিরুদ্ধে অবস্থান সংহত হচ্ছিল। ব্যক্তিস্বাধীনতা, নাগরিক অধিকার, নারী অধিকার আদায় এবং বর্ণবিভাজন বিলুপ্তির জন্য সোচ্চার ছিল এই প্রজন্ম। ভিয়েতনাম যুদ্ধ, আমেরিকায় সিভিল রাইটস মুভমেন্ট, ফ্রান্সে পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে মে ১৯৬৮-এর গণআন্দোলন, ‘ব্যক্তিগতই রাজনৈতিক’ এই স্লোগানে নারীবাদের দ্বিতীয় ঢেউ ভাসিয়ে নিচ্ছিল। প্রতিষ্ঠানবিরোধিতা গতি পাচ্ছিল কাউন্টারকালচার বা প্রতিসংস্কৃতি নানা আন্দোলনে, যার অংশ হিসেবে ছিল বোহেমিয়ান এবং হিপ্পি সংস্কৃতি। প্রথাবিরোধী এই অবস্থানের উল্লেখযোগ্য লক্ষণ ছিল মুক্ত যৌনতার প্রসার। বিটলস, দ্য রোলিং স্টোনস, বব ডিলান, জিমি হেন্ড্রিক্সের সংগীতে অনুপ্রাণিত এই প্রজন্ম। চলচ্চিত্রেও ফরাসি নিউ ওয়েভ হলিউডি স্টুডিও সংস্কৃতিকে চ্যালেঞ্জ করে চলচ্চিত্রিক ভাষায় নতুন দিগ্দর্শন করছিল। প্রথম সফল চন্দ্রাভিযানেরও সাক্ষী এই প্রজন্ম। মাও সে তুং-এর সাংস্কৃতিক বিপ্লবের মধ্য দিয়ে নয়াচীনের গঠন চলছিল, অন্যদিকে পশ্চিমা আধিপত্যবাদকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সাম্যবাদী সমাজের স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন ফিদেল ক্যাস্ত্রো আর চে গেভারা। ভারতবর্ষে উপনিবেশবাদের পতনের পর স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র গঠনের প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন বুমাররাই। যুদ্ধবিরোধী এই প্রজন্ম রাজনৈতিক মতাদর্শে যেভাবে একাট্টা ছিল তা অন্য প্রজন্মের মধ্যে পরিলক্ষিত হয় না। প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের নজির গড়ে দাবি আদায়ে এ প্রজন্মের সাফল্য ঈর্ষণীয়।

জেনারেশন এক্স (১৯৬৫-১৯৮০)

জেনারেশন এক্সকে অনেকে ‘এমটিভি জেনারেশন’ও বলে থাকেন। বুমারদের আমলেই জাদুর বাক্স মানুষের অন্দর মহলের একান্ত বাসিন্দা হয়ে উঠলেও ১৯৬৫ থেকে ১৯৮০ সময়কালে জন্মগ্রহণকারীরা টিভির সান্নিধ্যেই বেড়ে উঠেছেন। বাবা-মা দুজনই চাকরিজীবী, তাই স্কুল থেকে ফিরে টিভির রঙিন দুনিয়ায় ডুবে যাওয়া ছাড়া উপায় কী। অঞ্জন দত্ত যতই গেয়ে যান, ‘জানলাটাকে খুলে ঐ আকাশটাকে দেখো, টিভি দেখো না’। ভিডিও গেমে ব্যস্ত শৈশবের প্রজন্মও এটি।

বেড়ে উঠতে উঠতে পৃথিবীব্যাপী সমাজতন্ত্রের শেষ দুর্গেরও পতন দেখেছে জেনারেশন এক্স। যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট হিসেবে রোনাল্ড রিগ্যানের পর জর্জ ডব্লিউ বুশ আর ব্রিটেনে বামপন্থিদের হারিয়ে মার্গারেট থ্যাচারের দীর্ঘ প্রধানমন্ত্রিত্ব নয়া উদারনৈতিক আর্থ-রাজনৈতিক রাষ্ট্রব্যবস্থার খুঁটি শক্ত করছিল। মতাদর্শিকভাবে তারা সমাজকল্যাণমূলক রাষ্ট্রনীতির বিপক্ষে ছিলেন এবং ব্যক্তিগত সক্ষমতার জোরে উন্নয়নের ওপর জোর দিচ্ছিলেন যা একটি পুঁজিবাদী প্রচার। ১৯৮৯ এর গণজোয়ারে সোভিয়েত ব্লকসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে সমাজতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা জায়গা করে নিতে শুরু করে। বার্লিন দেয়ালের পতন, সোভিয়েন ইউনিয়নের বিলুপ্তির পর মধ্য এশিয়ার দেশগুলোও সমাজতন্ত্র ত্যাগ করে। সাম্যবাদী মতাদর্শের পরাজয় এই প্রজন্মের আত্মপরিচয়ের গঠনকে অনেকটাই প্রভাবিত করেছে। এদের নির্লিপ্ত, অলস এবং অসন্তুষ্ট হিসেবে চিহ্নিত করেন অনেক সমাজবিদ। কিন্তু মতাদর্শিক অস্পষ্টতা ও গুমোট রাজনৈতিক পরিবেশকে তারা রূপান্তরিত করেছেন অল্ট রক, হিপহপ, পাংক, গ্রাঞ্জের মতো সংগীত ধারার মাধ্যমে। হিপহপের সঙ্গেই প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে প্রাধান্য পেতে শুরু করে গ্রাফিতি। পুঁজিবাদের দাপটে সংকুচিত হতে থাকা জনপরিসরে এই শিল্পিত আগ্রাসনের মাধ্যমে নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিয়েছেন এই প্রজন্মের তরুণরা। বাংলাদেশে এই প্রজন্মই স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছে দীর্ঘ আন্দোলনের পথ ধরে, রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরিসরে।

মিলেনিয়াল (১৯৮১-১৯৯৬)

মিলেনিয়ালদের বলা হয় প্রকৃত বৈশ্বিক প্রজন্ম। অ্যানালগ থেকে ডিজিটাল যুগে পা রাখা এই প্রজন্ম বৈশ্বিক গ্রামের বাসিন্দা হওয়ার সুযোগ পেয়েছে। পার্সোনালাইজড কম্পিউটার বা পিসি ও ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা যোগাযোগ ও তথ্যপ্রাপ্তির ধরন পাল্টে দিতে শুরু করে। এরপরেই ঘটে মোবাইল ফোনের আবির্ভাব।

আকাশসংস্কৃতির পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তের বিনোদন দোরগোড়ায় হাজির করে। খেলা ও সিনেমাকে জাতীয়বাদের মোড়কে পুরে সর্বোচ্চ উপভোগ নিশ্চিতের প্রক্রিয়ার আদর্শ ভোক্তা মিলেনিয়ালরা।

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে আল-কায়েদার হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের ‘ওয়ার অন টেরর’ বা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ বিশ্বব্যাপী সামরিক আগ্রাসন ও প্রশাসনিক নজরদারির পথ সুপ্রশস্ত করেছে। এরপর ইরাক যুদ্ধ, মধ্যপ্রাচ্য সংকট, আফগানিস্তানে আগ্রাসন মিলেনিয়ালদের নতুন ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। চেহারাবিহীন শত্রুর মুখোমুখি এই প্রজন্ম আদর্শিক স্থবিরতার কালও পার করেছেন। মার্কিন মহামন্দার প্রভাবে চাকরির বাজারে চরম অনিশ্চয়তার মুখেও পড়তে হয়েছে মিলেনিয়ালদের।

ইউটিউব-ফেসবুক-টুইটার-হোয়াটসঅ্যাপের জন্ম হতে দেখা এই প্রজন্ম ডিজিটাল মাধ্যমে প্রতিবাদের নতুন ভাষা তৈরি করেছেন। নিয়মতান্ত্রিক ও ব্যবস্থাগত দুর্নীতি, বিদ্বেষ ও অসংগতির বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা ও সংগঠিত হওয়ার জন্য তারা ব্যবহার করেছেন ডিজিটাল মাধ্যমকে। একদিকে যেমন দেয়ালচিত্র এঁকেছেন অন্যদিকে ফেসবুকের দেয়ালে হ্যাশট্যাগে দিয়েছেন বিপ্লবের ডাক। আরব বসন্ত কিংবা হ্যাশট্যাগ মিটু আন্দোলনের মাধ্যমে সাড়া জাগিয়েছেন।

বাংলাদেশে এই প্রজন্মের তরুণরাই ব্লগিংকে সামাজিক অসংগতি নির্দেশে হাতিয়ার বানিয়েছেন। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে শিক্ষার্থীদের ব্যাপক প্রতিরোধের মুখে ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ্য হয় সামরিক বাহিনী। ২০১৩ সালে শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চ গঠনের মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিশ্চিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন মিলেনিয়ালরা।

জেনারেশন জি (১৯৯৭-২০১২)

জেনারেশন জি বা জেন জিকে বলা হয় সত্যিকারের ডিজিটাল নেটিভ। স্মার্টফোন পকেটে নিয়েই বড় হওয়া এই প্রজন্মের কাছে পুরো দুনিয়ায় আঙুলের গোড়ায়। নানা ধরনের পর্দায় অনেকটা বহুমাত্রিক বাস্তবতায় শৈশব কাটিয়েছেন তারা। প্রযুক্তি তাদের কাছে সুবিধা নয়, মৌলিক চাহিদার শামিল। মোবাইল ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড তাদের বিরামহীন বিনোদন ও তথ্যের প্রবাহে যুক্ত করে রেখেছে। যা অনেক ক্ষেত্রেই মনোযোগের ঘাটতি, ধৈর্যের স্বল্পতা ও অল্পতেই উত্তেজনার মতো সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বিভিন্ন দেশে অভিবাসনের জোয়ারের ফলে জেন জিরা সত্যিকার অর্থে বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক পরিচয়ের অধিকারী। মিলেনিয়াল ডায়াসপোরা যেখানে আত্মপরিচয়ের সংকটে ভুগেছেন, সেখানে জেন জি বৈশ্বিক গ্রামের বাসিন্দা হয়ে উঠতে পেরেছেন। বর্ণ, লৈঙ্গিক, যৌন পরিচয়ের ভিন্নতা ও বহুমাত্রিকতাকে তারা সাদরে গ্রহণ করেছেন এবং এর পক্ষে সরবও বটে। নিউক্লিয়ার পরিবারের মূল ধারণার বাইরে গিয়ে সম্পর্কের নানান রূপকে নানা আখ্যায় তারা ভূষিত করেন যেমন ব্রেডক্রাম্বিং, টকিং স্টেজ, সিচুয়েশনশিপ। তাদের কাছে যে কোনো বাস্তবতা বাইনারি বা দ্বৈত নয়, ডিসকার্সিভ বা ছড়ানো-ছিটানো। যার ফলে উদ্দেশ্যহীনতাও তাদের কাছে বর্জনীয় নয়। জেন জিদের গঠনকালে মুখোমুখি হতে হয়েছে কভিড-১৯ মহামারীর। কারও শিক্ষাজীবন ঝুঁকির মুখে পড়েছে, কারও ক্যারিয়ার পড়ে গেছে সীমাহীন অনিশ্চয়তায়। দীর্ঘ ঘরবন্দিত্ব তাদের মানসিক গঠনে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলেছে বলেই মনে করা হয়। বিশেষ করে প্রথাগত চাকরির চেয়ে ফ্রিল্যান্সিং-এ তারা বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। পেশাগত পরিচয় ও সামাজিক

স্বীকৃতির চেয়ে সামাজিক মাধ্যমে নিজের অবস্থান গড়ে তুলতে তারা সচেষ্ট। পুঁজিবাদীব্যবস্থায় ক্রয়ক্ষমতার নিরিখে ব্যক্তির সামাজিক অবস্থান নির্ণয়ের সময়ে বেড়ে ওঠা এই প্রজন্ম অনেকটাই ‘রাজনীতিবিমুখ’। মহাবয়ান-উত্তর এই কালে কোনো বৃহত্তর মতাদর্শিক অস্তিত্বের সঙ্গে তাদের পরিচয় নেই। ইমেজে নিমগ্ন বিক্ষিপ্ত বাস্তবতায় তাদের বসবাস। প্রতিবাদের ক্ষেত্রেও এই প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি তীব্র অনাস্থার কারণে তারা ভোট দিতে অনাগ্রহী। তবে টাইপ করতে যতটা সময় প্রয়োজন ঠিক ততটা সময়েই তারা যে কোনো অসংগতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম। স্বতঃস্ফূর্ততা ও গতি তাদের শক্তি। তবে স্বকীয় অস্তিত্বে বিশ্বাসী এই প্রজন্ম একক নেতৃত্ব মানতে নারাজ। তাদের এই ইতিহাসবিচ্ছিন্নতার সুযোগে ‘আইকনোক্লাজম’ বা লালিত বিশ্বাস-রীতি বা সংস্কার ভঙ্গের পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার শঙ্কা থাকে। প্রথাকে চ্যালেঞ্জ করতে গিয়ে ‘প্রতিক্রিয়াশীলতা’র অনুপ্রবেশের ফোকরও তৈরি হতে পারে। তবে ডিজিটাল যুগের লড়াকু সৈনিকরা সাম্যের গানে এক হলে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠবেন, সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। 

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত