সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

৬ মাসের মধ্যেই বরখাস্ত হাইতির প্রধানমন্ত্রী, বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন  

আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৬ পিএম

হাইতির প্রধানমন্ত্রী গ্যারি কনিলকে বরখাস্ত করা হয়েছে। শপথ নেওয়ার ছয় মাসের কম সময়ের মধ্যে ক্ষমতাসীন ট্রানজিশনাল প্রেসিডেনশিয়াল কাউন্সিল (টিপিসি) তাকে বরখাস্ত করেছে। তবে তাকে বরখাস্ত করার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কনিল।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, টিপিসির ৯ সদস্যের মধ্যে ৮ জনই গ্যারি কনিলকে বরখাস্ত করার নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। কনিলকে বরখাস্ত করার পর নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ব্যবসায়ী ও হাইতির সাবেক সিনেট প্রার্থী অ্যালিক্স দিদিয়ার ফিলস এইমির নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

কনিল জাতিসংঘের সাবেক কর্মকর্তা। হাইতিতে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর (গ্যাং) নেতৃত্বকে কেন্দ্র করে চলমান নিরাপত্তা সংকটের মধ্যে তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। ধারণা করা হচ্ছিল, তিনি দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আয়োজনের পথ তৈরি করবেন। ২০১৬ সালের পর দেশটিতে আর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়নি।

এক চিঠিতে কনিল দাবি করেন, তাকে অবৈধভাবে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে। কারণ হাইতিতে এ মুহূর্তে কোনও প্রেসিডেন্ট বা পার্লামেন্ট নেই। দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, একজন প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতাচ্যুত করতে কেবল পার্লামেন্টই পারে।

এ কারণে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে বহিষ্কারের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কনিল। এক চিঠিতে তিনি বলেছেন, “আইনি ও সাংবিধানিক কাঠামোর বাইরে নেওয়া এই সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে গভীর সন্দেহের অবকাশ আছে।”    

গত ৩ জুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন কনিল। কনিলের পূর্বসূরি অ্যারিয়েল হ্যানরি সশস্ত্র গোষ্ঠীদের একটি নেটওয়ার্কের হাতে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর গত এপ্রিলে হাইতির ট্রানজিশনাল প্রেসিডেনশিয়াল কাউন্সিল (টিপিসি) গড়ে ওঠে। হাইতির সশস্ত্র গোষ্ঠীদের ওই নেটওয়ার্ক পোর্ট অব প্রিন্সের বিভিন্ন অংশের নিয়ন্ত্রণ নেয়।

জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, এ বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশ হাইতিতে ৩ হাজার ৬শ’র বেশি মানুষ সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছে। ৫ লাখের বেশি মানুষ বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।        

হাইতির অন্যতম ক্ষমতাশালী সংঘবদ্ধ অপরাধীদের নেতা জিমি শেরিজিয়ার ওরফে বারবিকিউ বলেছিলেন, দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে নতুন সরকার গঠনের আলোচনায় যুক্ত করার অনুমোদন দিলে তারা সহিংসতা বন্ধে রাজি আছে।  

৮ বছর আগে ২০১৬ সালে হাইতির প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন জোভেনেল মইসি। ২০২১ সালে তাকে হত্যা করা হয়। তখন থেকেই হাইতির প্রেসিডেন্ট পদ শূন্য। এই সুযোগে জিমি শেরিজিয়ারের মতো অপরাধীরা আরও শক্তিশালী হয়ে দেশটির বিস্তীর্ণ অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার করে।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত