চট্টগ্রামের বাঁশখালীর কাথরিয়ায় স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে স্বামীর বাড়িতে অনশন করছেন এক তরুণী। সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকাল থেকে কাথরিয়ায় মোহাম্মদ রিদুয়ানের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন তিনি। তারা পাঁচ বছর আগে বিয়ে করেছেন বলে দাবি করেন তরুণী।
ওই তরুণীর জানান, ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে ফেসবুকে পরিচয় হয় বাঁশখালীর কাথরিয়া ইউনিয়নের বরইতলী এলাকার মাহফুজুর রহমানের ছেলে রিদুয়ানের সঙ্গে। পরিচয়ের সূত্র ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে প্রেমের বিষয়টি বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে চট্টগ্রাম নগরের বালুছড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় ঘর সংসার করে আসছিলেন। বিয়ের এক মাস পর রিদুয়ান পুনরায় দুবাই চলে যান। গত ৭ নভেম্বর রিদুয়ান দেশে ফিরে বালুছড়ায় তার স্ত্রীর ভাড়া বাসায় অবস্থান করেন। পরবর্তীতে বিয়ের বিষয়টি রিদুয়ান তার বাবাকে ফোন করে জানালে তিনি ছেলে ও পুত্রবধূকে ঘরে তুলতে অস্বীকৃতি জানান।
সোমবার দুপুরে প্রবাসী রিদুয়ানের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ঘর তালাবদ্ধ। বাইরে ঘরের সিঁড়িতে বসে অনশন করছেন ওই তরুণী। অনশনরত তরুণী বলেন, আমাকে বিয়ে করার পর ৫ বছর সংসার করেছে। এখন তার মা-বাবা আমাকে মেনে না নেওয়ায় সেও আমাকে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করছে। আমার এই পৃথিবীতে ভাইবোন কেউ নেই। মা-বাবাও অসুস্থ। বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোনও উপায় দেখছি না। এছাড়া আমি গার্মেন্টসে চাকরি করে কিছু টাকা সঞ্চয় করেছিলাম। টাকাগুলো সে প্রবাসে যাওয়ার আগে নিয়ে নেয়।
কাথরিয়া ইউপি সদস্য ছৈয়দ আহমদ বলেন, রিদুয়ান আমার চাচাতো বোনের ছেলে। আমার চাচাতো বোন ফোন করে বিষয়টি আমাকে জানিয়েছে। আমরা ঝামেলা না বাড়িয়ে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করে যাচ্ছি।
এদিকে পলাতক থাকায় এ নিয়ে প্রবাসী মোহাম্মদ রিদুয়ানের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে রিদুয়ানের মা নুর বেগম বলেন, এভাবে সব ছেলেরাই মেয়েদের সাথে একটু-আধটু সম্পর্ক করে। কিন্তু ওই মেয়ের সাথে আমার ছেলের বিয়ে হয়নি। সে মামলা করলে করুক।
বাঁশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুধাংশু শেখর হালদার জানান, থানায় এ ধরনের কোনও অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।