সৌদি সরকারের আমন্ত্রণে প্রথমবার দেশটিতে গাইতে গিয়েছেন বাংলাদেশের রকস্টার মাহফুজ আনাম জেমস। ‘বাংলাদেশ কালচার’ শিরোনামের এক কনসার্টে শুত্রবার সন্ধ্যায় অংশ নেন তিনি। পরে জেমস বলেন, “সৌদি আরবে আমি প্রথম এসেছি। আমি আশা করি নাই যে এতো সুন্দর আয়োজন, এতো দর্শক এখানে আছে। রিয়াদে এসে আমি সত্যিই মুগ্ধ।”
এদিন বাঙালি এই রকস্টারের গান শুনতে রিয়াদের আল-সুওয়াইদি পার্ক হয়ে উঠে কানায় কানায় পূর্ণ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এরআগে এতো প্রবাসী বাঙালিদের এমন মিলনমেলা সৌদির কোনো অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি।
গান পরিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে জেমস বলেন, রেমিটেন্সযোদ্ধারা অনেক কষ্ট করেন। কর্মমুখর জীবনে তাদেরকে যে একটু সময়ের জন্য আনন্দিত করতে পারলাম, সেই সাথে সংগীতের মাধ্যমে তাদের সাথে যে মেলবন্ধন, তারা এনজয় করল- আশা করি তারা দেশের জন্য সামনে আরো কাজ করবে ইনশাল্লাহ।
সৌদি তরুণ বাংলাদেশি প্রবাসীদের উদ্দেশে জেমস বলেন, এখানে তারা এসেছেন, বলে আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। আমি এখানে বার বার আসব।
জেমস বলেন, গ্লোবাল হারমনির আয়োজক, বিশেষ করে মিডিয়া মিনিস্ট্রিকে আমি ধন্যবাদ জানাই।
এর আগে রিয়াদের আল-সুওয়াইদি পার্কে একের পর এক গান গেয়ে মাতান জেমস। তিনি তার জনপ্রিয় গানগুলো গেয়ে শোনান। এসব গানের মধ্যে ছিল ‘মা’, ‘আসবার কালে আসলাম একা’, ‘দুষ্টু ছেলের দল’, ‘বিজলী চলে যেওনা’, ‘বেদের মেয়ে জোছনা’, ‘সুন্দরী তমা আমার’, ‘মীরা বাঈ’, ‘পাগলা হাওয়ার তোড়ে’, ‘না জানে কোয়ি’ প্রভৃতি।
স্থানীয় সময় রাত ৮ টার দিকে মঞ্চে উঠেন জেমস। এসময় তার মাথায় ছিল লাল গামছা বাঁধা। পরনে কালো টি-শার্ট আর নীল জিন্স। গান শেষে জেমস বলেন,‘তোমরা আমার জান। বেঁচে থাকলে আবার দেখা হবে।’
জানা গেছে, দেশের বাইরে বিশ্বের নানা জায়গায় কনসার্ট করেছেন জেমস। তবে সৌদি আরবে কখনো তিনি কনসার্টে অংশ নেননি। এই প্রথমবারের মতো সৌদি আরবে কনসার্ট করলেন জেমস।
রিয়াদ সিজন শুরু হয়েছে গত ১২ অক্টোবর। ৪৫ দিনের এ আয়োজন শেষ হবে ৩০ নভেম্বর। এবার এতে অংশ নিচ্ছে নয়টি দেশ। দক্ষিণ এশিয়ার তিন দেশ বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান রয়েছে এর মধ্যে। এ আয়োজনের সপ্তম সপ্তাহকে ‘বাংলাদেশ উইক’ ঘোষণা করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে ২০ থেকে ২৩ নভেম্বর রিয়াদ সিজনে বাংলাদেশের শিল্প, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হবে।