ফেনীর দাগনভূঁঞা উপজেলার মাতুভূঞা ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর শহীদ খোরশেদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী (৯) প্রধান শিক্ষক কর্তৃক যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম নারায়ণ চন্দ্র রায়। বুধবার (২৭ নভেম্বর) ওই শিক্ষার্থীর মা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কাছে মেয়ের যৌন হয়রানির বিচার চেয়ে আবেদন করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) স্কুলের বিরতির পর পঞ্চম শ্রেণির ইংরেজি বিষয়ের সময় স্কুলের প্রধান শিক্ষক নারায়ণ চন্দ্র রায় ওই শিক্ষার্থীকে পড়ানোর নাম করে কাছে টেনে নিয়ে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে হাত দিয়ে যৌন হয়রানি করে। যৌন হয়রানি শিকার হয়ে ওই শিক্ষার্থী স্কুল থেকে কান্না করতে করতে বাড়িতে গিয়ে তার মাকে বিষয়টি জানান।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুর রহমান বলেন, ওই শিক্ষার্থীকে প্রধান শিক্ষক কর্তৃক যৌন হয়রানির কথা শুনে আমরা সাথে সাথে দুই সদস্যেও একটি তদন্ত কমিটি করেছি। তারা সরেজমিন গিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ করেছে। আশা করি বৃহস্পতিবারের মধ্যে একটি সিদ্ধান্ত জানাতে পারব। তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার দিলরুবা লাইলী ও জি এম নাহিদুল হাসান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিবেদিতা চাকমা বলেন, আমরা অভিযোগটি পেয়েছি, তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযোগের বিষয়ে জানার জন্য অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক নারায়ণ চন্দ্র রায়ের ফোন কল দিলেও তিনি সাড়া দেননি। স্কুলে গিয়েও প্রধান শিক্ষককে পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য প্রধান শিক্ষক নারায়ণ চন্দ্র ইতিপূর্বে সোনাগাজীর চরচান্দিয়া সুলতান আহম্মদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে একই ঘটনায় স্থানীয় জনগণের রোষানলে পড়লে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাকে উদ্ধার করে দাগনভূঁঞা উপজেলার মাতুভূঞা ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর শহীদ খোরশেদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করেন।