ফেডারেশন কাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে চিরবৈরী মোহামেডানকে ১-০ গোলে হারিয়ে মৌসুমের প্রথম হারের বদলা নিয়েছে আবাহনী।
ডিসেম্বরে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে সুলেমান দিয়াবাতের গোলে আবাহনীকে হারিয়েছিল মোহামেডান। আসর বদলে গেলেও সেই হারের কষ্টটা আবাহনী দূর করেছে অভিজ্ঞ মোহাম্মদ ইব্রাহিমের করা একমাত্র গোলে। এই জয়ে ফেডারেশন কাপের কোয়ালিফায়ার্সে খেলা অনেকটাই নিশ্চিত আবাহনীর। অন্যদিকে তিন ম্যাচের দুটিতে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকেই বাদ পড়ার শঙ্কায় গতবারের রানার্স-আপরা।
লীগে দুর্বার গতিতে ছুটে চলা মোহামেডান ফেডারেশন কাপে সেভাবে নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি। বি গ্রুপের প্রথম ম্যাচে তারা হেরে যায় রহমতগঞ্জের কাছে। দ্বিতীয় ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনীকে উড়িয়ে দিলেও চিরশত্রু আবাহনীর কাছে এই হার তাদের অনেকটাই ছিটকে দিয়েছে শেষচারের হিসেব থেকে।
আবাহনী ও রহমতগঞ্জের এখন সমান ছয় পয়েন্ট। এই দুই দল তাদের পরের দুই ম্যাচ থেকে একটি করে পয়েন্ট সংগ্রহ করলেই চলে যাবে নতুন ফরম্যাটের কোয়ালিফায়ার্সে। মোহামেডান শেষ ম্যাচে ফকিরেরপুলকে হারালেও লাভ হবে না।
কুমিল্লার ভাষা সৈনিক শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার মোহামেডান নেমেছিল পূর্ণ শক্তির দল নিয়ে। চোটের কারণে আগের দুই ম্যাচে বিশ্রামে থাকা মালির ফরোয়ার্ড দিয়াবাতেকে নিয়ে একাদশ সাজিয়েছিলেন কোচ আলফাজ আহমেদ। স্থানীয়দের নিয়ে গড়া আবাহনী অবশ্য শুরু থেকেই ঘর সামলানোর লক্ষ্য নিয়ে খেলতে থাকে। মোহামেডানের বিদেশীদের পাশাপাশি ফর্মে থাকা স্থানীয় ফরোয়ার্ডদের রুখতে রক্ষণাত্মক কৌশল সাজিয়েছিলেন অভিজ্ঞ কোচ মারুফুল হক। তাতে তিনি পুরোপুরি সফল।
পুরো ম্যাচে মোহামেডান একের পর এক আক্রমণ করেছে। তবে সেগুলো সফল রূপ দিতে পারেননি ফিনিশাররা। আবাহনী কিপার মিতুল মারমাকে পরীক্ষা নেওয়ার মতো শটও নিতে পারেননি তারা। উল্টো ঘর সামলে কাউন্টার অ্যাটাকে গিয়ে আবাহনী চেষ্টা করেছে গোলের। শুরুতে না হলেও ম্যাচের ৭৩ মিনিটে অভিজ্ঞতার ছাপ রেখে আবাহনীকে এগিয়ে নেন বসুন্ধরা কিংস থেকে আসা উইঙ্গার মোহাম্মদ ইব্রাহিম। কাউন্টার এটাক থেকে বল পেয়ে শাহরিয়ার ইমন ডান দিক দিয়ে আক্রমণে উঠেছিলেন। মোহামেডানের অরক্ষিত রক্ষণ দেখতে পেয়ে তরুণ উইঙ্গার দ্রুত স্কয়ার পাস ফেলেন গোল মুখে। মার্কারকে সুযোগ না দিয়ে ইব্রাহিম ঠান্ডা মাথায় বল জালে জড়িয়ে দেন।
শেষ পর্যন্ত এই লিড ধরে রেখে আবাহনী মাঠ ছাড়ে ৩ পয়েন্ট নিয়ে। আর মোহামেডানের সঙ্গী হয় হতাশা।