মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

বদির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণ জানাল ডিএনসি

আপডেট : ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:৪২ পিএম

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সরকারের একাধিক সংস্থার করা মাদক ব্যবসায়ীর তালিকায় শীর্ষে এসেছে আবদুর রহমান বদির নাম। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ‘হাত-পা বাঁধা’ থাকায় বদির বিরুদ্ধে মামলা নিতে পারেনি মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে আইস উদ্ধারের বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ স্বীকারোক্তি দেন সংস্থাটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক মুহাম্মদ ইউসুফ।

বেশ কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশে সবচেয়ে ভয়াল মাদকের নাম ইয়াবা। ‘বাবা’ নামে এটি ছড়িয়ে পড়েছে সমাজের বিভিন্ন স্তরে বিশেষ করে তরুণদের মাঝে। সারা দেশে ইয়াবার মূল জোগান ছিল টেকনাফ-কক্সবাজার। মায়ানমারের সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণের এলাকা টেকনাফ হয়ে ইয়াবার কারবারে শীর্ষে যার নাম সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হয়েছে তিনি আব্দুর রহমান বদি। কক্সবাজার-৪ আসন থেকে তিনি ২০০৮ এবং ২০১৪ দুই মেয়াদে সংসদ সদস্য ছিলেন।

ডিএনসির অতিরিক্ত মহাপরিচালক মুহাম্মদ ইউসুফ বলেন, মাদকসেবন যেমন আসক্তি ঠিক এর কারবারও বড় আসক্তি। আপনারা মাদক সম্রাট বদির নামে আসলে আমরা আওয়ামী লীগের আমলে কোনো মামলা নিতে পারিনি। বর্তমানে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আমরা কাজ করছি। এখন আমাদের হাত পা বাঁধা নেই। আমরা তার (বদির) সব কার্যক্রমের তদন্ত করেছি। আমাদের একটি কমিটি তদন্ত করে কাজ করেছে। তারা তদন্ত করে বদি ও তার আত্মীয় স্বজনদের বিষয় বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেছে।

তিনি বলেন, আমরা এখনও ব্যবস্থা নিতে পারিনি। এজন্য সময় প্রয়োজন। আমাদের সোর্স লাগানো আছে। গডফাদারদের ধরার বিষয় অনেকেই প্রশ্ন করেন। কিন্তু গডফাদার থাকে অনেক পেছনে। তার কাছ পর্যন্ত পৌঁছাতে আমাদের জুতার তলা ক্ষয় হয়ে যায়। এ জন্য সহজ কাজ হচ্ছে মানিলন্ডারিং মামলা। বদির পুরো পরিবারের তথ্য এসেছে। এবার তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিতে কাজ করবো। দ্রুতই একটা ফলাফল দেখতে পাবেন। 

এক প্রশ্নের জবাবে মুহাম্মদ ইউসুফ বলেন, মাদকের আধিপত্য এখনও অনেকেই ধরে রেখেছেন। আমরা সবার বিষয় কাজ করছি। আমাদের নিজেদের গোয়েন্দাদের পাশাপাশি অন্য সংস্থার সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে।

এদিকে রাজধানীর গুলিস্তানে অভিযান চালিয়ে ৬০০ গ্রাম আইসসহ মনিরুল ইসলাম (৩৬) নামে এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেন ডিএনসি। পরে সংবাদ সম্মেলনে ডিএনসির অতিরিক্ত মহাপরিচালক মুহাম্মদ ইউসুফ বলেন, গ্রেপ্তার মনিরুল রাজধানীর ডেমরা এলাকার বাওয়ানীবাদ জুট মিলস স্টাফ কোয়ার্টার মসজিদের ইমাম। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জানতে পারে আইসের একটি চালান কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে ঢাকায় প্রবেশ করবে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে গুলিস্তান এলাকায় অভিযান চালিয়ে আইসসহ মনিরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার মনিরুল ইতোপূর্বে একাধিক ইয়াবা ও আইসের চালান সংগ্রহ করে ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করতো। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের পল্টন থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

 

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত