পলিগ্যামি সুখ
এইমাত্র তোমার চিবুক ছুঁয়ে উড়ে এলো কিছু সোনালু রোদ
নদীর শীতল জলের বুকে কাটাকুটি খেলে উড়ে গেল
একদল মায়াঞ্জন পাখি,
কচুরিপানার বেগুনি পাপড়িতে যেন আদরের পারাবত,
স্বচ্ছ জলের গহিনে সবুজ শেওলার বুকে ছোট্ট পোনাদের লুটোপুটি...
হাওয়ার বহতা ধরে মৃদু শীতের কানাকানি,
শ্রীষ্মকালীন ফুলের টবে কিছুটা শুষ্কতার রেখা
আর রাংতার বনে শিশিরের চর
ওখানে জীবন মেতেছে তার নিজস্ব শয্যায়...
ওখানে তোমার বা আমার একান্ত বলে কিছু নেই,
কেবল
পলিগ্যামী সুখের খোঁজে ছুটে চলেছে জীবন...!
পারমিতা
এই অরণ্য ও আকাশের যারা কেউ নয়
এই জোছনার চন্দনে যাদের হৃদয় জাগে না
এই অপার বিস্ময়ের মাঝেও যারা নিতান্তই শুধু
একজোড়া আলোহীন সাদা চোখ
সেখানে হলুদ পাতার মতো বিষন্নতারা কথা বলে,
সেখানে নিস্পন্দ হারায় কাঁচা বাতাবিলেবুর ঘ্রাণ
ও সবুজ সুগন্ধ ঘাস... সমস্ত কামনার মধ্যপথে
কুমারী স্তব্ধতার মতো সেখানে নেমে আসে
এক জীবনানন্দীয় ধূসরতা
যে জীবন অন্তর্লোকের অনুভূতিময়,
শিশির, আলোক ও নীল ময়ূরের ডানা
যেথায় জোছনার পালঙ্কে বাঁশপাতা ঝরা আলো
আর চাঁদভাসি রাত মরমি আনন্দ হয়ে আসে
মরণগুলো বৃথাই যেন সেখানে,
প্রেমই সে জীবনের শ্রেষ্ঠ পারমিতা...