মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

শুল্ক না কমানোয় বেনাপোল বন্দরে ফল আমদানি বন্ধ

  • বেনাপোল বন্দর দিয়ে দিনে ৬০-৭০ ট্রাক ফল আমদানি হত
  • মঙ্গলবার সকাল থেকে কোন ফলের ট্রাক বন্দরে ঢুকেনি
  • তাজা ফলের ওপর সম্পূরক শুল্ক বেড়ে ৩০ শতাংশ
আপডেট : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:০৭ পিএম

ফল আমদানিতে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ফল আমদানি বন্ধ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) থেকে ব্যবসায়ীরা ফল আমদানি বন্ধের আলটিমেটাম দেওয়ার পর সকাল থেকে কোন ফলের ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করেনি।

ফল আমদানিকারক আব্দুল মান্নান বলেন, ফল আমদানির ওপর অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহারের জন্য সরকারকে আগেই আলটিমেটাম দিয়েছিল বাংলাদেশ ফ্রেশ ফুড এসোসিয়েশন। যেহেতু সরকার শুল্ক প্রত্যাহার করেনি, সেজন্য আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য ফল আমদানি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছি। আসন্ন রমজান উপলক্ষে ফল আমদানিতে শুল্ক কমানো না হলে বাজারে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে। এতে ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে ফলের দাম। ভোগান্তিতে পড়বে সাধারণ মানুষ।

বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মহসিন মিলন বলেন, গত ৯ জানুয়ারি আমদানি করা তাজা ফলের ওপর সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করেছে সরকার। এর প্রভাব পড়েছে বেনাপোলসহ দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দরের ওপর। এ কারণে ফল আমদানি শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। শুধু ফল আমদানি করে এই বন্দর থেকে সরকারের প্রতিদিন ২৫ কোটি টাকার রাজস্ব আয় হত। ফলের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক না কমালে বড় ধরনের রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হবে সরকার।

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার সুশান্ত পাল বলেন, আজ থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ফল আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। সকাল থেকে কোন ফলের ট্রাক এই বন্দরে প্রবেশ করেনি। অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহারের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ফল আমদানি বন্ধের আলটিমেটাম দিয়েছে ফল ব্যবসায়ীরা।

তিনি জানান, আগে প্রতিদিন এই বন্দর দিয়ে ৬০ থেকে ৭০ ট্রাক ফল আমদানি হত। এখন তা কমে অর্ধেকে নেমে এসেছে। এভাবে চললে আসন্ন রমজান মাসে ফলের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত