সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

তিন দিবসকে সামনে রেখে ব্যস্ত সিংগাইরের ফুলচাষিরা

আপডেট : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:৫৫ এএম

বিশুদ্ধতার প্রতীক ফুল। দেশীয় বিভিন্ন ফুলের পাশাপাশি বিদেশি ফুলও এখন দেশের মাটিতে চাষ হয়। বিভিন্ন দিবস ছাড়াও উৎসব অনুষ্ঠানে ফুলের চাহিদা থাকে ব্যাপক।

এদিকে সামনে কড়া নাড়ছে পহেলা ফাল্গুনে বসন্তবরণ, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস অমর একুশে ফেব্রুয়ারি। এদিকে এই তিন দিবসকে ঘিরে ফুল বাগানের পরিচর্যা ও ফুল কেটে বাজারে ও স্থানীয় পাইকারদের কাছে বিক্রিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মানিকগঞ্জের সিংগাইরের ফুলচাষিরা। ঢাকার বিভিন্ন মার্কেটে গোলাপসহ সব ফুলের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দামও বেড়েছে প্রায় চারগুণ। এতে বেশি লাভের আশায় ফুলচাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে।

উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের ফোর্ডনগর, জয়মন্টপের ভাকুম, শায়েস্তা ইউনিয়নের নীলটেক, তালেবপুর ইউনিয়নের ইরতা ও নতুন ইরতা এলাকায় মো. বাবুল, খালেক, সারাক, রুবেল, সিরাজুল ইসলাম, আবু সাইদ, ফজলুল হক, সিরাজ ব্যাপারী, মো শাহিনুর রহমান ও শফিকুল ইসলামসহ প্রায় ২০ জন চাষি বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষ করে থাকেন।

গতকাল বুধবার সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন ফুলের দোকান ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি দেশি গোলাপ ৪০-৫০, জারবেরা ৫০-৬০, গ্লাডিওলাস ২৫-৩০, রজনীগন্ধা ১০-১৫ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। তবে উৎসব যত ঘনিয়ে আসছে, ফুলের দাম ততই বাড়ছে।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ২০ জন তালিকাভুক্ত চাষি এ বছর বাণিজ্যিকভাবে প্রায় ২০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের চাষ করেছেন। সামনের তিনটি দিবসসহ এ বছর প্রায় আড়াই কোটি টাকার ফুল বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এ ছাড়া সারা বছরে অভ্যন্তরীণ ফুলের বাজারে ফুল বিক্রি টাকার অঙ্কে আরও বাড়তে পারে বলেও জানান তারা।

ফোর্ডনগর এলাকার ফুলচাষি বাবুল হোসেন জানান, তিনি প্রায় ১৮ বছর ধরে ফুল চাষ করছেন। এ বছর তিনি ৩০ বিঘা জমিতে চায়না গোলাপসহ বিভিন্ন জাতের ফুল চাষ করেছেন। প্রতি মাসে ৬-৭ লাখ টাকা ফুল বিক্রি করেন। খরচ বাদে এক থেকে দেড় লাখ টাকা তার মাসে আয় থাকে। ফুল চাষ করে এখন তিনি স্বাবলম্বী বলে জানান। তিনি আরও জানান, কীটনাশকের দাম বৃদ্ধি ও পরিচর্যার খরচ বেড়ে যাওয়ায় আগের থেকে লাভের পরিমাণ কমে গেছে।

সিংগাইর উপজেলা কৃষি অফিসার

কৃষিবিদ মো. হাবিবুল বাশার চৌধুরী বলেন, এখানকার ফুল অভ্যন্তরীণ বাজারের চাহিদা মেটাতে বড় ভূমিকা রাখে।

এখানকার মাটি ফুল চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় ব্যাপক হারে ফুল উৎপাদন হয়ে থাকে। এ ছাড়া ফুলচাষিদের বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করা হয়।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত