সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ফলে উত্তীর্ণ সাড়ে ৬ হাজার প্রার্থীর নিয়োগ বাতিল করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। গত বুধবার এ আবেদন করা হয় বলে দেশ রূপান্তরকে জানান হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আখতার হোসেন মো. আবদুল ওয়াহাব। তিনি বলেন, ‘হাইকোর্টের রায়টি স্থগিত চেয়ে অধিদপ্তর আবেদন করেছে। কার্যতালিকায় এলে রবিবার আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে।’ লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার পর গত বছরের ৩১ অক্টোবর ৬ হাজার ৫৩১ পরীক্ষার্থীকে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ দেখিয়ে ফল প্রকাশ ও পরে তাদের নিয়োগ বিষয়ে নির্দেশনা প্রকাশিত হয়। হাইকোর্টের এ রায়ের দিন নিয়োগ প্রার্থীরা আদালতের সামনে বিক্ষোভ করেন। গত কয়েক দিন ধরে তারা রাজধানীতে আন্দোলন করছেন।
সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ফলে উত্তীর্ণ ব্যক্তিদের নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতি অনুসরণের অভিযোগে নিয়োগ না পাওয়া ৩০ প্রার্থী হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন। গত বছরের ১৯ নভেম্বর হাইকোর্টের একই বেঞ্চ নিয়োগের কার্যক্রম স্থগিতাদেশ দিয়ে রুল দেয়। রুলের রায়ে বলা হয়, নিয়োগের প্রক্রিয়ায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ যে সিদ্ধান্ত (৯৩ শতাংশ মেধা) দিয়েছিলেন তা অনুসরণ করতে হবে।
রিটকারীদের আইনজীবীদের অভিযোগ, সাড়ে ৬ হাজার প্রার্থীকে নিয়োগের ক্ষেত্রে আগের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০১৯ অনুসরণ করা হয়, যেখানে নারী কোটা ৬০ শতাংশ এবং পোষ্য কোটা ২০ শতাংশ ছিল। আপিল বিভাগের রায়ে কোটা পদ্ধতি সংশোধনের পর গত বছরের ২৩ জুলাই কোটা পদ্ধতি সংশোধনের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবরের জারি করা পরিপত্রসহ আগের এ সংক্রান্ত সব পরিপত্র, প্রজ্ঞাপন বা আদেশ রহিত করে সরকারি চাকরিতে ৭ শতাংশ কোটা রাখা হয়।