বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৬ চৈত্র ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

আসামির বাড়ির পুকুরে নিখোঁজ স্কুলছাত্রের বস্তাবন্দি লাশ

আপডেট : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:০১ এএম

নিখোঁজ হওয়ার ২৩ দিন পর মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে আসামির বাড়ির পাটাতন করা বসতঘরের নিচের পুকুর থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় স্কুলছাত্র ও অটোরিকশাচালক রোমান শেখের (১৫) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে শ্রীনগর উপজেলার বীরতারা ইউনিয়নের ছয়গাঁও গ্রামের আসামি সিয়াম ওরফে জিহাদের (১৯) বাড়ির পুকুর থেকে র‌্যাব ও সেনাসদস্যদের উপস্থিতিতে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

বস্তাবন্দি অবস্থায় লাশটি সিমেন্টের খুঁটির সঙ্গে বাঁধা ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। রোমান জেলার সিরাজদীখান উপজেলার থৈরগাঁও গ্রামের মিরাজ শেখের ছেলে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে পুকুর থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে স্থানীয়রা সিয়ামের বাড়িতে ছুটে যান। এ সময় সিয়ামদের পাটাতন করা বসতঘরের নিচে পুকুরের কচুরিপানা সরিয়ে সিমেন্টের খুঁটির সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় বস্তাবন্দি লাশ দেখতে পান তারা। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয়রা সিয়ামদের বাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন দেন। খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সেখানে যান। গত বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিখোঁজ রোমান শেখের সন্ধান চেয়ে মানববন্ধন শেষে মিছিল থেকে সিরাজদীখান থানা ও পাশের এএসপির কার্যালয়ে ভাঙচুর চালান শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা।

সিরাজদীখান সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আ ন ম ইমরান খান জানান, রোমান শেখ নিখোঁজের ঘটনায় করা মামলায় সিয়ামসহ তিনজনেক গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছিল। সিয়ামসহ তিনজন বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছে।

তিনি আরও জানান, স্থানীয়রা উত্তেজিত থাকায় লাশ উদ্ধারে বিলম্ব হয়। পরে দুপুর ১টার দিকে সেনাবাহিনী ও র‌্যাব সদস্যদের উপস্থিতিতে পুলিশ পুকুর থেকে লাশ উদ্ধার করে। এরপর পরিবারের লোকজন রোমানের লাশ শনাক্ত করেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

গত ২১ জানুয়ারি বিকেলে নিজ বাড়ি থেকে অটোরিকশা নিয়ে বের হয়ে নিখোঁজ হন রোমান শেখ।

থানা ও এএসপির কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ২ : সিরাজদীখান থানা ও এএসপির কার্যালয়ে গত বুধবারের হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় ৬০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। যৌথ বাহিনী গতকাল সকালে সিংপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে আসামি মো. সেন্টু ওরফে গরম সেন্টু ও আরিগাঁও গ্রাম থেকে মাহিম বেপারিকে গ্রেপ্তার করে।

বুধবার রাতে এসআই রোজিনা খাতুন বাদী হয়ে সিরাজদীখান থানায় এ মামলা করেন। মামলায় ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৫০ জনকে আসামি করা হয়। হামলায় ১৪ পুলিশ সদস্য আহত হন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত