শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ৬ চৈত্র ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

প্রবৃদ্ধি কম হলেও সার্বিক কল্যাণ সম্ভব

আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:০২ এএম

স্বৈরাচার ও তার সরকারের হর্তা-কর্তাদের দেশ থেকে পলায়ন-পরবর্তী রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সামাজিক নানা অসন্তোষের কারণে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকা-ের ওপর বিস্তর প্রভাব পড়েছে। বিভিন্ন দেশি ও আন্তর্জাতিক সংস্থার হিসেবে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি চলতি অর্থবছরে (২০২৪-২৫) ৩.৫ শতাংশ থেকে ৪ শতাংশ হতে পারে। গেল অর্থবছরে (২০২৩-২৪) বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪.২২ শতাংশ, যা চার বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম।

বিশ্লেষকরা বলছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে দেশের অর্থনীতির নানা সূচকে বিশেষত জিডিপি বা মোট উৎপাদন বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে। এটি করা হয়েছে জনগণকে চমক দেখানোর জন্য আর বিদেশ থেকে নানা মেগা প্রকল্পে সহজে ঋণ নেওয়ার জন্য। কেবল দুই-তিনটি অর্থনৈতিক সূচক, যেমন রেমিট্যান্স, রপ্তানি আয় ইত্যাদি বাদ দিলে বেশিরভাগ অর্থনীতির মান নির্দেশক ভালো অবস্থানে নেই। দেশে মুদ্রাস্ফীতি অনেক বেশি, বিনিয়োগে স্থবিরতা, কর্মসংস্থানে চরম ভাটা দেশের বেশিরভাগ মানুষের জীবনমান অনেক কমিয়ে দিয়েছে।

গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশ রেকর্ড ৮.১৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছিল বলে আওয়ামী লীগ সরকার দাবি করেছিল। কিন্তু এরপর করোনা মহামারীর কারণে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ৩.৪৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়, যা ছিল দেশটির ইতিহাসের সর্বনিম্ন প্রবৃদ্ধি। লীগ সরকার প্রবৃদ্ধি বাড়িয়ে দেখালেও গত এক দশকে বাংলাদেশে জিডিপির হার সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল। কিন্তু তারপরও বিশ^ শান্তির সূচকে বাংলাদেশ পড়ে ছিল তলানিতে। ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট ২০২৪ অনুযায়ী ১৪৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১২৯। রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশ অ-সুখী দেশের মধ্যে ১৫তম। সন্তুষ্টির তালিকায় স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলো (ফিনল্যান্ড, সুইডেন, ডেনমার্ক, নরওয়ে) একেবারে সামনের সারিতে আছে। 

কেমন আছেন গ্রামের মানুষ

মোটের ওপর গ্রামের প্রান্তিক মানুষেরা খুব ভালো নেই। বিভিন্ন কারিগরি ও পেশাদারি প্রশিক্ষণ সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। নানা মন্ত্রণালয়ের নতুন প্রকল্পগুলোর বেশিরভাগই শুরু করা যায়নি। কিছু চলমান প্রকল্প ধীরগতিতে চলছে। ‘যারা বিনামূল্যে খাদ্যসামগ্রী পেতেন, সেই প্রকল্পটি এখন বন্ধ রয়েছে। স্বল্পমূল্যে জরুরি খাদ্যপণ্য সরবরাহ সীমিত মাত্রায় চলছে,’ জানালেন দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার দেশ রূপান্তরের সাংবাদিক মোর্শেদ মানিক। উপজেলা নির্বাহী অফিসের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে মানিক বলেন, নারীদের একটি কারিগরি প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো, যেখানে একজন অংশগ্রহণকারী নারী মাসিক ভাতা হিসেবে পেতেন ১২ হাজার টাকা। এ রকম আরও অন্যান্য কর্মসূচি ছিল, যেমন কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, কিন্তু সেগুলো বন্ধ রয়েছে। অনেক নির্বাচিত প্রতিনিধি গা-ঢাকা দেওয়ার কারণে বেশ কিছু প্রকল্প স্থবির হয়ে পড়েছে। যেমন বিরামপুরের সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর জন্য নেওয়া হাঁস-মুরগি ও গো-খামার প্রকল্প চলছে খুব ধীরগতিতে। উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসক রয়েছেন একেবারে অপর্যাপ্ত। দূরারোগ্য ব্যাধির জন্য সরকার থেকে যে থোক বরাদ্দ ছিল সেটির ছাড়ও বন্ধ হয়ে আছে। এদিকে দক্ষিণবঙ্গেও একই অবস্থা। জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মোর্শেদ আলী খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘গ্রামে কাজ কমে যাওয়ায় লোকজন ঢাকামুখী হবে। ফলে শহরের ওপর চাপ বাড়বে। কুয়াকাটা, বরগুনা, পিরোজপুর ও অন্যান্য এলাকার ইউনিয়ন কাউন্সিলের মেম্বাররা কর্মহীন এই পরিস্থিতিতে হতাশা প্রকাশ করেছেন।’ তিনি বলেন, ‘সরকার অনেক সময় এই ধারণা দিতে চায় যে, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো নয়, যাতে করে মানুষ সরকারের কাছে কম প্রত্যাশা করেন (এর বিপরীত চিত্রও রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার প্রবৃদ্ধি ও রপ্তানি আয় ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখাত)। এখন গ্রামের মানুষ খুব আশান্বিত নন। তার মতে, গ্রামের এই স্থবিরতা ঠিক হতে দুই-তিন বছর সময় লেগে যেতে পারে। দেশে ভালো একটি নির্বাচন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার পর বিনিয়োগ পরিস্থিতি ও অন্যান্য অর্থনৈতিক নির্দেশকগুলো উন্নত হবে বলে তিনি মনে করছেন।

জেলা প্রকৌশলী কী বলছেন?

জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নতুন ও পুরনো প্রকল্প কেমন চলছে তা জানতে দিনাজপুর জেলার  স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) এক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, জেলায় নতুন কোনো প্রকল্প নেওয়া হয়নি। তবে পুরনো প্রকল্পগুলো চলমান রয়েছে। আগের সরকারের নেওয়া ২০টি প্রকল্পের মধ্যে ২টির কাজ শেষ হয়েছে, বাকি ১৮টির কাজ চলমান রয়েছে। চলমান প্রল্পের মধ্যে বিরামপুর-নবাবগঞ্জের মধ্যে আশুরার বিলের ওপর ২৩১ মিটার লম্বা একটি সেতুর নির্মাণ কাজ চলছে। আর বীরগঞ্জ উপজেলায় ৪৫০ মিটার দীর্ঘ আরেকটি সেতুর কাজ চলমান রয়েছে। এ ছাড়াও একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে, এটি দীর্ঘ সড়ক নির্মাণ প্রকল্প যা কি না পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও হয়ে দিনাজপুর পর্যন্ত বিস্তৃত থাকবে। তবে এটির অর্থনৈতিক ও অন্যান্য হিসাব-নিকাশ এখনো চূড়ান্ত হয়নি বলে তিনি জানান।

মানুষকে সুখী করার উপায়ও রয়েছে

জিডিপি কম থাকলেও সম্পদের সমতাবাদী (Egalitarian) বা ন্যায্য বিতরণ ব্যবস্থা মানুষের সামগ্রিক সুখ বাড়িয়ে দিতে পারে। প্রবৃদ্ধি যখন কম হয় তখন মানুষের প্রাথমিক চাহিদা যেমন খাদ্য, স্বাস্থ্য ইত্যাদি পূরণ করলে তা নাগরিকের মানসিক চাপ হ্রাস করে এবং সামাজিক সংহতি বাড়িয়ে তুলতে সহায়তা করে। এসব অর্জনের জন্য যেসব পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে, তা হলো :

সর্বজনীন মৌলিক সেবা প্রদান :  নিখরচায় বা সাশ্রয়ী মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, আবাসন এবং অল্প খরচে পরিবহন নিশ্চিত করলে সমাজে প্রত্যেকেরই প্রয়োজনীয় অধিকারগুলো বাস্তবায়িত হয়। এটি তাদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তাহীনতা হ্রাস করে। প্রান্তিক ও গরিব জনগোষ্ঠীকে খাদ্য সুরক্ষা দিতে হবে। ভর্তুকিযুক্ত বা সম্প্রদায়ভিত্তিক খাদ্য সহায়তা প্রকল্পগুলো চালু রাখতে হবে। এটি যেন নিশ্চিত করা হয় যে, কেউ ক্ষুধার্ত থাকছে না। 

প্রগতিশীল কর ব্যবস্থা এবং সম্পদের পুনর্বণ্টন : এমনকি একটি নিম্ন জিডিপি-ভুক্ত দেশেও একটি ন্যায্য কর ব্যবস্থা সম্পদ পুনর্বণ্টনে সহায়তা করতে পারে, যাতে কেউ ন্যূনতম জীবনযাত্রার মানের নিচে পড়ে না যায়। নাগরিকের ন্যূনতম নিশ্চিত আয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। সর্বজনীন মৌলিক আয় (Universal Basic Income) সামাজিক কল্যাণের একটি দিক নিশ্চিত করে যে মানুষের আর্থিক স্থিতিশীলতা রয়েছে। সামাজিক সমবায়ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে হবে। সমবায় এবং সম্প্রদায়-পরিচালিত অর্থনৈতিক প্রকল্পগুলো সম্পদ কেন্দ্রীভূত হওয়ার পরিবর্তে মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে তা সুনিশ্চিত করতে পারে। পাশাপাশি অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত (যেমন- অংশগ্রহণমূলক বাজেট) নেওয়ার ক্ষেত্রে জনগণকে জড়িত করতে হবে, যাতে নাগরিকদের ক্ষমতায়ন বাড়ে এবং সামাজিক আস্থা তৈরি হয়। 

অমর্ত্য সেন কী বলছেন?

‘জনজীবনের গুণগতমান’ ধারণাটি সময়ের সঙ্গে বিকশিত হয়েছে, বিশেষ করে রাজনৈতিক, অর্থনীতি, জননীতি এবং কল্যাণমূলক অর্থনীতির উন্মেষের মাধ্যমে। অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ী (১৯৯৮) অমর্ত্য সেন জনজীবনের মানের ধারণায় গভীর অবদান রেখেছেন। তিনি একটি দেশের মানব উন্নয়ন এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের ওপর জোর দিয়েছেন, যা কি না জনগণের জীবনের গুণগতমান নির্ধারণ করে।  কীভাবে কেবল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি (জিডিপি)-এর বাইরে গিয়ে কল্যাণকে মূল্যায়ন করে সামাজিক জীবনের গুণগতমান উন্নত করা যায়, সেটির একটি নতুন রূপ দিয়েছেন অমর্ত্য সেন। তিনি যুক্তি দেখিয়ে বলছেন যে, জীবনের মান মানুষের প্রকৃত স্বাধীনতা এবং তার সক্ষমতা দিয়ে পরিমাপ করা উচিত, শুধু আয় বা সম্পদ দিয়ে নয়। জিডিপিকে আলাদা করে দেখার পরিবর্তে, তিনি জোর দিচ্ছেন মানুষেরা আসলে কী করতে পারে বিশেষত শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং রাজনৈতিক স্বাধীনতা ব্যবহার করে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে। কেননা, তিনি এমন একটি সূচক Human Development Index  (মানব উন্নয়ন সূচক) ব্যবহার প্রতিষ্ঠা করেছেন অর্থনীতিবিদ মাহবুবুল হকের সঙ্গে যৌথভাবে, যা পরবর্তী সময় জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) সামাজিক উন্নয়নের একটি মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করেছে। এই সূচকটি মানুষের আয়ু, শিক্ষা এবং আয় পরিমাপ করে শুধু অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি থেকে সামগ্রিক মানবকল্যাণের দিকে আমাদের দৃষ্টিকে ঘুরিয়ে দেয়। এইচডিআই এখন জনজীবনের গুণমান মূল্যায়নের জন্য একটি বিশ্বব্যাপী মান হয়ে উঠেছে।

যদি গ্লোবাল এইচডিআইর মানের প্রবণতা প্রাক-কোভিডের নিচে থাকে, যা কি না ২০২০ সাল থেকে নিচেই রয়ে গেছে, তাহলে বিশ্বের মানব সম্পদের ক্ষতি হবে স্থায়ী, বলছে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি। দেখা যাচ্ছে, ১৯৯৯-২০১৯ সময়ের প্রবণতার ওপর ভিত্তি করে বিশ্বব্যাপী ঐউও মান অত্যন্ত উঁচু মানব উন্নয়ন মাত্রায় উন্নীত হচ্ছিল, যা অব্যাহত  থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাগুলো পূরণ করা সম্ভব ছিল।

উপায় তবুও রয়েছে

জিডিপির প্রবৃদ্ধি কম থাকলেও কর্মঘণ্টার নিরাপত্তা এবং ন্যায্য মজুরি প্রদানের মাধ্যমে নাগরিকের সামগ্রিক সুখ বাড়ানো যায়। মজুরি কম হলে ন্যায্য ক্ষতিপূরণ এবং স্থিতিশীল কর্মসংস্থান নিশ্চিত করে সামগ্রিক সুখ উন্নত করা সম্ভব। সম্পদের প্রচলিত ধারণায় প্রান্তিক ব্যক্তির মধ্যে মর্যাদা বিষয়ক উদ্বেগ তৈরি হতে পারে এবং সাংস্কৃতিক বৈষম্য মানুষের মর্যাদা কমিয়ে দিতে পারে। বস্তুগত সম্পদ প্রতিযোগিতা বাড়িয়ে দেয়। তাই সমাজের সামগ্রিক উন্নতির জন্য কল্যাণের ধারণা, সামাজিক সম্পর্ক এবং সম্প্রদায়কে অগ্রাধিকার দেয় এমন মূল্যবোধের প্রচার বাড়িয়ে দিতে হবে। সুযোগের সমান প্রাপ্যতার মাধ্যমে শিক্ষা, চাকরি এবং সামাজিক বা রাষ্ট্রীয় পরিষেবাগুলো ধনীদের একচেটিয়া দখলে যেন চলে না যায় তা নিশ্চিত করতে হবে। ফলে একটি ন্যায্য এবং আরও ইতিবাচক সমাজ তৈরির পথ উন্মুক্ত হবে।

সুখের ধারণাটি পরম সম্পদের চেয়ে আপেক্ষিক সম্পদের সঙ্গে দৃঢ়ভাবে জড়িত। কম জিডিপি থাকা সত্ত্বেও, একটি অধিকতর সমান ও ন্যায্য সমাজব্যবস্থা নির্মাণ করে, নিরাপত্তা এবং মানুষের চেতনা উন্নত করে সামগ্রিক কল্যাণ বাড়ানো যেতে পারে।

সংস্কার কমিশনের সুপারিশ

প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ২০২৪ সালের ১১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ রাষ্ট্র বিনির্মাণের লক্ষ্যে কয়েকটি সংস্কার কমিশন গঠনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। পরবর্তী সময় পর্যায়ক্রমে সংবিধান, নির্বাচন, পুলিশ প্রশাসন, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনসহ মোট ১১টি কমিশন গঠিত হয়। অন্য কমিশনগুলো হলো : গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন, স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন, শ্রম সংস্কার কমিশন, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন এবং স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন। গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর রাষ্ট্র সংস্কারের দাবি ক্রমে জোরালো হয়ে ওঠে। মোট ১১টি সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে পারলে সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় নানা অসংগতি ও বৈষম্য অনেকটা দূর হবে বলে দেশের বরেণ্য ব্যক্তিগণ ও ছাত্রসমাজ মনে করছেন। রাষ্ট্র বিনির্মাণ একটি জরুরি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে সংস্কার সম্পন্ন করা সম্ভব হয়তো হবে না। এগুলো সময়সাপেক্ষ বিষয়। তাই রাজনৈতিক দলগুলোকে এ বিষয়ে অঙ্গীকারাবদ্ধ হতে হবে, যাতে করে নির্বাচনের পরও সংস্কারের কাজ এগিয়ে নেওয়া যায়।

লেখক: ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক ও অর্থনীতি বিশ্লেষক

[email protected]

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত