শেষ ষোলোয় ওঠার প্লে অফ পর্বের ড্রটি আরেকটু এদিক-ওদিক হলেই ম্যানচেস্টার সিটির মুখোমুখি হতে হতো ৬ বারের শিরোপাজয়ী বায়ার্ন মিউনিখকে। সেটি না হওয়ায় বরং অপেক্ষাকৃত সহজ প্রতিপক্ষ সেল্টিককে পেয়েছিলেন বাভারিয়ানরা। প্রথম লেগে সেল্টিকের মাঠে ২-১ ব্যবধানে জয়ও পেয়েছিল বায়ার্ন। তাই ঘরের মাঠ আলিয়াঞ্জ অ্যারেনাতে একটি ড্র করলেই চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলো নিশ্চিত করে ফেলতো বায়ার্ন।
এমন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে কেমন নিস্প্রভ হয়ে উঠেছিল বায়ার্নের আক্রমণ। মঙ্গলবার রাতে ঘরের মাঠে আধিপত্য বিস্তার করেও প্রথমার্ধ গোল খরায় কাটে ভিনসেন্ট কোম্পানির শিষ্যদের। একের পর এক শট নিয়েও গোল আদায় করতে ব্যর্থ হওয়াই শেষ নয় উল্টো দ্বিতীয়ার্ধের ৬৩তম মিনিটে গোল হজম করে বসে তারা। শেষমেশ যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে আলফোনসো ডেভিসের গোলে কাঙ্খিত ড্রয়ের দেখা পায় বায়ার্ন। আর দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ ব্যবধানের জয়ে নিশ্চিত হয় শেষ ষোলোও।
প্রথমার্ধ গোল শূন্য থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধের ৬৩তম মিনিটে বায়ার্নের রক্ষণের ভুলে ডি-বক্সে বল পেয়ে গোল আদায় করে নেন সেল্টিক স্ট্রাইকার নিকোলাস-গেরিত কুন। বক্সের মুখে আরেক ডিফেন্ডার কিম-মিন-জেও পারেননি ক্লিয়ার করতে, সেই সুযোগে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে কোনাকুনি শটে ঠিকানা খুঁজে নেন জার্মান ফরোয়ার্ড কুন। দ্বিতীয়ার্ধে গোলের জন্য এটিই ছিল সেল্টিকের প্রথম শট।
পিছিয়ে পড়ার পর গোল আদায়ে আরও মরিয়া হয়ে উঠে বায়ার্ন। ৭৯তম মিনিটে জসুয়া কিমিখের শট একজনের পায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়াতে যাচ্ছিল। অসাধারণ ক্ষীপ্রতায় ঝাঁপিয়ে সেটি আটকে দেন স্মাইকেল। নির্ধারিত সময় পেরিয়েও গোলের দেখা পাচ্ছিল না তারা। যোগ করা সময়ে আসে ভাগ্যের সহায়তা। ওলিসের ক্রস বক্সে পেয়ে হেডার নেন গোরেজকা। স্মাইকেল সেটি আটকে দিলেও বিপদমুক্ত করতে পারেননি। আলগা বল একজন ক্লিয়ার করার চেষ্টা করেন, কিন্তু ওখানে ছুটে যাওয়া ডেভিসের পায়ে লেগে বল গোললাইন পেরিয়ে যায়। আর ১৭ মৌসুম ধরে শেষ ষোলোয় ওঠার রীতি বজায় রাখে বায়ার্ন।
ঘরের মাঠে মোনাকোর বিপক্ষে ৩-৩ গোলের ড্র করলেও প্রথম লেগের জয়ে ৪-৩ অগ্রগামিতায় শেষ ষোলোয় উঠেছে বেনফিকা। তবে অসহায় আত্মসমর্পন করেছে আতালান্তা। ক্লাব ব্রুজের মাঠে প্রথম লেগে ২-১ গোলে হারের পর এবার ঘরের মাঠে ৩-১ গোলে হেরে গেছে ইতালিয়ান ক্লাবটি। ৫-২ ব্যবধানে শেষ ষোলোয় নাম লিখিয়েছে বেলজিয়ান ক্লাবটি। ৭ বারের চ্যাম্পিয়ন এসি মিলানকে চমকে দিয়ে প্রথমবার শেষ ষোলোয় উঠেছে ফিয়েনুর্দ।