জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের (বৈছাআ) কমিটি ঘোষণার ২ ঘণ্টা পরই স্থগিত করা হয় কমিটি। অনুমতি ছাড়াই কমিটিতে নাম দেয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে এক এক করে পদত্যাগ করতে থাকে সদস্যরা। পদত্যাগের মুখে স্থগিত করা হয় কমিটি।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে আগামী ৬ মাসের জন্য ৫২ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের (বৈছাআ) অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে একটি পোস্ট করা হয়। মেজবাহ উদ্দিন রিয়াদকে আহ্বায়ক এবং রাজু শেখকে সদস্য সচিব করে এই কমিটি ঘোষণা করে বৈছাআ।
এদিকে কমিটি ঘোষণার পরপরই অভিযোগ উঠতে শুরু করে কোনো প্রকার অনুমতি ছাড়াই কমিটিতে নাম দেয়া হয়েছে অনেকের। এসব অভিযোগে পদত্যাগ করেন যুগ্ম-সদস্যসচিব, সহ-মুখপাত্র ও সদস্য পদে থাকা একাধিক সদস্য।এছাড়া কমিটিতে শিবিরের নেতাকর্মীর আধিক্য ও সাবেক ছাত্রলীগ কর্মীর স্থান পাওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ ও পেজে পোস্ট ও মন্তব্যে এসব অভিযোগের কথা জানান অনেকে এসবের মুখে ২ ঘণ্টা পরই বৈছাআর ফেসবুক পেজ থেকে মুছে ফেলা হয় কমিটির পোস্ট।
কমিটিতে সহ-মুখপাত্র হিসেবে স্থান পাওয়া ইব্রাহিম খলিল এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, সদ্য প্রকাশিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটিতে কে বা কারা আমার অনুমতি ব্যতীত আমার নাম কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাঠিয়েছে সে ব্যাপারে আমি অবগত নই। আন্দোলনে অংশ নেওয়ার মূল ভিত্তিগুলোর অন্যতম একটি ছিল বাংলাদেশে ক্যাম্পাস ভিত্তিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ক্যাম্পাস কমিটির সাথে কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। আমি স্বেচ্ছায় এই কমিটি থেকে আমার নাম প্রত্যাহার করে নিলাম।
একই ধরনের পোস্ট দিয়ে পদত্যাগ করেন যুগ্ম-সদস্য সচিব সাবিকুন্নেছা লাবণী, সদস্য আশরাফ সিদ্দিকী, সদস্য রিয়াদুল ইসলাম রিয়াদ, সদস্য ইমরান হোসাইন, সদস্য আজিজুল ইসলাম, সদস্য জাকির হোসেনসহ অনেকে।
এসব বিষয়ে কমিটির সদস্য-সচিব রাজু শেখের কাছে জানতে চাইলে এ বিষয়ে পরে কথা বলবেন বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে মোবাইলে পাওয়া যায়নি। পরে তাকে ক্ষুদেবার্তা পাঠানো হলেও তিনি উত্তর দেননি।