জন্মহার দ্রুত কমতে থাকার সংকটে জর্জরিত দক্ষিণ কোরিয়ায় পর্যাপ্ত শিক্ষার্থীর অভাবে এ বছর বন্ধ হয়ে যেতে বসেছে প্রায় ৫০ টি স্কুল। দক্ষিণ কোরিয়ার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের হিসাব তুলে ধরে ব্রিটিশ দৈনিক দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকা।
১৭টি শহর ও প্রদেশের এসব স্কুলের মধ্যে আছে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলও। ৪৯টি স্কুলের মধ্যে প্রাথমিক স্কুল ৩৮ টি, মাধ্যমিক স্কুল ৮টি ও ৩ টি হাইস্কুল।
এসব স্কুলের ৮৮ শতাংশই পল্লী এলাকার। ফলে দেশটির রাজধানী সিউল এবং অন্য প্রদেশগুলোতে শিক্ষায় ব্যবধান তৈরি হওয়া নিয়ে বড় ধরনের উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
২০২৩ থেকে ২০২৪ সালে স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থী কমে যাওয়ার হার ধীরে ধীরে বেড়েছে। ফলে শিক্ষার্থীর অভাবে স্কুলগুলো আর চালু রাখা সম্ভব হচ্ছে না।
কয়েক বছর ধরে বিশ্বে সবচেয়ে কম জন্মহারের দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম দক্ষিণ কোরিয়া। নিম্ন জন্মহার ঠেকাতে দেশটি হিমশিম খাচ্ছে।
২০২৪ সালের ডিসেম্বরের তথ্য অনুযায়ী, দেশটির মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ১২ লাখ ২০ হাজার। এর মধ্যে ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী মানুষের ২০ শতাংশ।
সরকার এই জনমিতি সংকটকে ‘জাতীয় জরুরি অবস্থা’ আখ্যা দিয়ে তা সমাধানের পদক্ষেপ নিয়েছে। জন্মহার বাড়াতে আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া এবং শিশুদের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রেও সহায়তার প্রস্তাব করেছে সরকার।
২০১৫ সাল থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় শিশু জন্মের হার কমছে। ২০১৮ সালে প্রথম নারীপ্রতি শিশু জন্মের হার ১ জনের নিচে চলে এসে দাঁড়ায় ০ দশমিক ৯৮ এ।
২০২৩ সালে এ সংখ্যা ঐতিহাসিক নিম্ন পর্যায়ে চলে আসে। নারীপ্রতি শিশুজন্মের সংখ্যা দাঁড়ায় ০ দশমিক ৭২ তে।
বিশেষজ্ঞরা বার বারই সতর্ক করে বলে এসেছেন, জন্মহার বাড়াতে না পারলে দক্ষিণ কোরিয়ার জনসংখ্যা ২১০০ সালে অর্ধেকে নেমে আসবে। এতে সামাজিক ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ বৃদ্ধি পাবে।