গাজীপুরের শ্রীপুরে এক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালককে খুনের বিচার দাবি করে মহাসড়ক অবরোধ করেছে এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজনরা। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) সকাল ৮ টায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বেতঝুড়ি এলাকায় অবরোধের এ ঘটে। বেলা ১২টার দিকে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয় বলে পুলিশ বলছে।
এর আগে মহাসড়কে অবরোধের কারণে তীব্র যানজটে সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ ঘটনান্থলে এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে অবরোধকারীদের সাথে কথা বলেন। পরে পুলিশ সুষ্ঠ বিচারের আশ্বাস দিলে বেলা ১২ টার দিকে মহাসড়ক ছাড়েন অবরোধকারীরা। এর আগে অন্তত চার ঘণ্টা বন্ধ থাকে এ মহাসড়কটি। এতে মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েন। গরমে আটকে নাভিশ্বাস উঠে যায় নানা বয়সের যাত্রীদের। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী অবেরোধকারীদের সাথে কথা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।
অবরোধকারী ও নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, তাকওয়া পরিবহন নামের একটি বাসের লোকজন বেতঝুড়ি গ্রামের রিটন নামে এক অটোচালককে হত্যা করে সড়কে ফেলে যায়। তিনি পাশের শিরিরচালা গ্রামের মো. দুলাল মিয়ার ছেলে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় তাকওয়া পরিবহনের অভিযুক্ত চালক জনি মিয়াকে আটক করে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান- সকালে পৌরশহরের বেতঝুড়ি নতুন বাজার এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের দুই লেনে শত শত লোকজন হাতে লাঠিসোঠা নিয়ে সড়কের ওপর অবস্থান করেন। এ সময় এক অটোচালকের হত্যার বিচার চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে তারা। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে শ্রীপুর থানা পুলিশ ও মাওনা হাইওয়ে পুলিশ মহাসড়কে অবস্থান করা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। কিছুক্ষণ পর সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে আসে।
তারা আরও বলেন এ সড়ক অন্তত চার ঘণ্টা বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। অবরোধকারীরা সড়কে অবস্থান নেওয়ায় সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। এতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। চরম দুর্ভোগে পড়েন বিভিন্ন যানবাহনে চলাচলকারীর যাত্রীরা।
নিহতের স্বজনরা জানান, রিটনের অটো রিকশায়কে চাপা দেয় তাকওয়া পরিবহনের একটি গাড়ি। এতে রিটনের অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে যায়। পরে রিটন তার ক্ষতিগ্রস্ত অটো রিকশার ক্ষতিপূরণ চাইলে তাকে পিটিয়ে মারা হয়। এর পর মহাসড়কে তার লাশ ফেলে যান তাকওয়া পরিবহনের লোকজন।
মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইয়ুব আলী জানান, দুপুরের আগেই মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। অবরোধের সময় বিভিন্ন যানবাহন আটকা পড়েছিল। এতে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ গিয়ে অবরোধকারীদের সাথে কথা বলে। একসময় তারা মহাসড়ক ছেড়ে দেয়।
শ্রীপুর মডেল থানার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, আমরা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলছি। এ হত্যার ঘটনায় একজন আটক আছে। মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।