বুয়েনস আইরেস, ১২ মার্চ: ফুটবল কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যুর ঘটনায় সাত স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলার বিচার শুরু করেছে আর্জেন্টিনার একটি আদালত।
২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ৬০ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন ম্যারাডোনা। তার চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে এক নিউরোসার্জন, এক মনোরোগ বিশেষজ্ঞসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত হত্যার মামলা করা হয়, যার সর্বোচ্চ শাস্তি ২৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড।
রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী পাত্রিসিও ফেরারি অভিযোগ করেন, ১১ থেকে ২৫ নভেম্বরের মধ্যে ম্যারাডোনাকে এমন এক পরিবেশে রাখা হয়েছিল, যেখানে তিনি মানসিকভাবে সুস্থ ছিলেন না এবং নিজ সিদ্ধান্ত নিতে অক্ষম ছিলেন। তিনি বলেন, ‘তাকে একপ্রকার বন্দি করে রাখা হয়েছিল, যেখানে চিকিৎসার নামে চরম অবহেলা করা হয়।’
মামলার অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত ম্যারাডোনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক নিউরোসার্জন লেওপোলদো লুক, যিনি তার মৃত্যুর কয়েক সপ্তাহ আগে মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধার কারণে অস্ত্রোপচার করেছিলেন। এছাড়া মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অগাস্তিনা কোসাচভ, মনোবিজ্ঞানী কার্লোস দিয়াজ, মেডিক্যাল তত্ত্বাবধায়ক ন্যান্সি ফরলিনি, নার্সিং সার্ভিসের প্রতিনিধি মারিয়ানো পেরোনি, তত্ত্বাবধায়ক চিকিৎসক পেদ্রো দি স্পাগনা এবং নার্স রিকার্দো আলমিরনও অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন।
বিচারের প্রথম দিনে আদালতে উপস্থিত ছিলেন ম্যারাডোনার পরিবারের সদস্যরা। তার কন্যা দালমা ও জিয়ানিনা, সাবেক সঙ্গী ভেরোনিকা ওখেদা এবং আরেক কন্যা জানা বিচারকার্যে অংশ নেন। ওখেদা বিচার শুরুর আগে এক ভিডিও শেয়ার করেন, যেখানে ম্যারাডোনার কনিষ্ঠ পুত্র দিয়েগো ফার্নান্দো বাবার ছবি সংবলিত ‘ন্যায়বিচার’ লেখা একটি টি-শার্ট পরিহিত অবস্থায় ছিলেন।
প্রায় চার মাসব্যাপী এ বিচার প্রক্রিয়ায় প্রতি সপ্তাহে তিনটি শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। অভিযুক্তদের মধ্যে নার্স গিসেলা মাদ্রিদ আলাদাভাবে পরে বিচারের মুখোমুখি হবেন।