সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১
দেশ রূপান্তর

আরও ৩ দিনের রিমান্ডে ‘সমন্বয়ক’ মারইয়াম

আপডেট : ১৩ মার্চ ২০২৫, ০৮:৫৫ পিএম

নিজের পরিচিতি ও প্রভাব-প্রতিপত্তি বাড়াতে আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়ি ভাঙচুর ও দখলের উদ্যোগ নেন ‘সমন্বয়ক’ মারইয়াম মুকাদ্দাস (মিষ্টি)। চার দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ এমনই তথ্য পেয়েছে। তবে তিনি কোনও সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা কি না, এখনও জানতে পারেনি পুলিশ। তাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

মারইয়ামের পক্ষে জেলা অ্যাডভোকেট বারের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রতন ও সিরাজুল ইসলাম শুনানিতে অংশ নেন। তারা মারইয়ামের জামিন চান। আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।

মারইয়াম মুকাদ্দাসের বাড়ি টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার ফুলকী ইউনিয়নের যশিহাটী গ্রামের দোহার গ্রামে। গ্রামের মাজহারুল ইসলামের মেয়ে তিনি।

টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তানভীর আহম্মদ জানান, সাবেক সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলামের বাড়ি দখল ও চাঁদাদাবির উদ্দেশ্য, বিদেশ গমনের কারণসহ বিভিন্ন তথ্য জানতে আরও জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। তাই তাকে আবার রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি মিষ্টি তার কিছু অনুসারী নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় স্কেভেটর দিয়ে গুঁড়িয়ে দেন। পরে জেলা আওয়ামী লীগের সদ্যপ্রয়াত সভাপতি ফজলুর রহমান খান, সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলামের এবং সাবেক পৌর মেয়র জামিলুর রহমানের বাড়ি ভাঙচুর করেন। এ সময় বাড়িগুলোর সব মালামাল লুটপাট হয়। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য নেতাদের বাড়িঘর ভাঙচুর করারও ঘোষণা দেন। আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িঘর দখল করে বৃদ্ধাশ্রম, পাগলের আশ্রম, এতিমখানা করা হবে বলে মিষ্টি জানিয়েছিলেন।

তার ধারাবাহিকতায় গত শনিবার (৮ মার্চ) শহরের আকুরটাকুর পাড়ায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলামের বাড়ির তালা ভেঙে মারইয়াম প্রবেশ করেন। সেখানে ১৮ জন মানসিক ভারসাম্যহীন নারী-পুরুষ উঠিয়ে দেন। বাড়িটিতে পাগলের আশ্রম চালুর ঘোষণা দেন। পরে রাতে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বাড়ি খালি করে। পরে মিষ্টি প্রশাসনের কাছে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত