গাজীপুরের শ্রীপুরে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের নির্জন স্থানে পথচারীকে আটকে ধরে চার ছিনতাইকারী। পরে তাদের সাথে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে ছিনতাইকারীরা শ্বাসরোধে খুন করে পথচারীকে। পরে সব লুট করে ময়লার ভাগাড়ে মরদেহ ফেলে যায়। খুনের ১২ দিন পর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ক্লু লেস সে খুনের তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ ছিনতাইকারীদের সম্পৃক্ততা নিশ্চিত হয়।
খুন হওয়া ব্যক্তির নাম রেজাউল ইসলাম মুন্সি (৩০)। তিনি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। ডিউটি শেষে বাসায় ফেরার পথে খুন মুন্সি। তিনি নেত্রকোনা সদরের দুর্গাশ্রাম গ্রামের ইসহাক মুন্সির ছেলে।
শনিবার (১৫ মার্চ) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান শ্রীপুর থানার জয়নাল আবেদীন মন্ডল। সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কালিয়াকৈর সার্কেল) আফজাল হোসেন, থানার ওসি (তদন্ত) শামীম আখতার ও ওসি (অপারেশন) নয়ন কর উপস্থিত ছিলেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন, নেত্রকোনা জেলার সদর থানার টেংগা গ্রামের আলী ওসমানের ছেলে জুলহাস মিয়া (৩৪), শ্রীপুরের উজিলাব গ্রামের আফাজ উদ্দিনের ছেলে নুরুল ইসলাম (৫২) ও শ্রীপুর পৌর এলাকার কেওয়া পশ্চিমখন্ড গ্রামের বকুলতলা এলাকার আলতাফ হোসেনের ছেলে শাহাদত হোসেন শান্ত (২৫)।
পুলিশ জানায়, গত ৯ মার্চ বিকেলে শ্রীপুরের গড়গড়িয়া মাস্টারবাড়ি ঢালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশ থেকে অজ্ঞাত অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার হয়। মরদেহটি গলে পচে যাওয়ায় পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। পরে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। নিহতের ভাগিনা মরদেহের গায়ে থাকা জামা দেখে লাশটির পরিচয় নিশ্চিত করেন। এরপরই শ্রীপুর থানার পুলিশের একাধিক টিম হত্যার রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করে।
মামলার তদন্ত অফিসার এসআই সুজন কুমার পন্ডিত বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় প্রথমে জুলহাসকে শ্রীপুরের আনসার রোড এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যাকান্ডে মোট চারজন অংশ নেয় বলে জানান এবং বাকি নাম-পরিচয় প্রকাশ করেন।
শ্রীপুর মডেল থানার ওসি (অপারেশন) শ্রী নয়ন কর জানান গ্রেপ্তারদের শনিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে। পরে আদালত তাদের কারাগারে পাঠায়। অন্য একজন আসামি পলাতক আছে। তাকে ধরতে পুলিশ কাজ করছে। তিনি বলেন, ছিনতাইরোধে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।