আমাদের দেশে জুমাবার কিংবা রমজানে ছোট শিশুদের মসজিদে আসতে দেখা যায়। অনেক শিশু স্বভাবতই নামাজ না পড়ে দুষ্টুমি করে থাকে। এতে মুসল্লিদের নামাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। মুসল্লিরা তাতে বিরক্ত হয়ে শিশুদের ধমকও দেন। অনেক সময় কর্র্তৃপক্ষ মসজিদে শিশুদের নিয়ে আসা নিষিদ্ধ করে দেয়। কথা হলো, সাধারণভাবে যেকোনো বয়সের শিশু কি মসজিদে আসতে পারবে, নাকি পারবে না? শিশুদের মসজিদে আসতে বারণ করার বিধান কী? আবার আরব দেশে ছোট বাচ্চাদের নামাজে দৌড়াদৌড়ি করতে দেখা যায়। ইসলাম এ সম্পর্কে কী বলে? বিস্তারিত বিবরণী উল্লেখ করা হলো।
শিশু যদি এতটা অবুঝ হয় যে, সে পাক-পবিত্রতা এবং মসজিদ ও সাধারণ ঘরের পার্থক্য সম্পর্কে কোনো ধারণা না রাখে এবং তার থেকে যদি মসজিদ নাপাক হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তাহলে তাকে মসজিদে নিয়ে আসা একদমই জায়েজ নয়। কারণ মসজিদকে পবিত্র রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং সেখানে কোনো ধরনের ময়লা করা নিষেধ। আর যেসব শিশুর দ্বারা মসজিদ নাপাক হওয়ার আশঙ্কা নেই এবং তারা যথেষ্ট বোধশক্তির অধিকারী, এমন শিশুকে মসজিদে আনা অবৈধ নয়। শায়খ উসাইমিন (রহ.) বলেন, ‘সাত বছরের ছোট শিশুরা যদি মসজিদে বিশৃঙ্খলা বা কষ্টের কারণ না হয় তাহলে তাদের মসজিদে নিয়ে যেতে অসুবিধে নেই। তাছাড়া শিশুরা যদি মুসল্লিদের ব্যাঘাত সৃষ্টি করে তাহলে তাদের মসজিদে নিয়ে আসা জায়েজ নয়।’
নামাজে মুসল্লিদের ব্যাঘাত সৃষ্টি করে এমন শিশুকে মসজিদে আনা যাবে না। তবুও শিশুরা হলো আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। তাদের মসজিদ ও দ্বীনি পরিবেশের সঙ্গে সম্পৃক্ত রাখা দরকার। তাই সামান্য দুষ্টুমির জন্য শিশুদের মসজিদ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া অনুচিত। বরং দুষ্টুমির জন্য শিশুকে ধমক না দিয়ে অভিভাবকদের সচেতন করা দরকার। আর অভিভাবকদের উচিত তাদের মসজিদের আদব-কায়দা শেখানো। যাতে তারা মসজিদে এসে দুষ্টুমি না করে দ্বীন শেখে।