কুমিল্লায় আলোচিত অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ও ৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি এম ডি রাজীব ওরফে শ্যুটার রাজিবকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাতে নগরীর মোগলটুলীর একটি এপার্টমেন্টে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর কুমিল্লা নগরীতে আনন্দ মিছিল ও সহিংসতা শুরু হয়। আদালতে সহিংসতার খবর শুনে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি কাইমূল হক রিংকু, তার দুই ছেলে এবং অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদসহ কয়েকজন আইনজীবী আদালতে যাওয়ার পথে হামলার শিকার হন। তখন নগরীর ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ রায়হানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ও ককটেল ছোড়ে। এ সময় অ্যাডভোকেট আবুল কালাম কোমরে গুলিবিদ্ধ হন এবং রিংকু ও তার দুই ছেলেসহ আরও ৬-৭ জন আইনজীবী আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে আবুল কালামের অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকার একটি হাসপাতালে আইসিইউতে এবং পরবর্তীতে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। ১০দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে তিনি মারা যান।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম বলেন, রাজিবকে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে মামলার তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অন্যান্য আসামিদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
তিনি আরো বলেন, গ্রেপ্তার ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। তারা আশা করছেন মামলার তদন্ত দ্রুত সম্পন্ন করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে আসামিকে কুমিল্লা জেল হাজতে পাঠানো হবে।