সাভারে দাবিকৃত চাঁদার ৩০ লাখ টাকা না দেওয়ায় একটি হাউজিংয়ের অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে যুবদলকর্মী রকিব ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী বাদল খান সাভার মডেল থানায় বিষয়টি জানিয়ে অভিযোগ করলেও পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না বলে অভিযোগ করেছেন।
আজ শনিবার বিকেলে সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ করেন। এর আগে গত ১৭ মার্চ দুপুরে সাভারের হেমায়েতপুর এলাকায় অবস্থিত আল মদিনা হাউজিং প্রকল্পের অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে।
হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় অভিযুক্তরা হলো সাভারের হেমায়েতপুর এলাকার মৃত শাজাহান বেপারীর ছেলে যুবদল কর্মী রকিব হোসেন (৩০), তার ভাই রাসেল (২৬), কানু বেপারীর ছেলে শহিদুল (৫২), বাবুল মিয়ার ছেলে রতন শেখ (৪০), নালিয়াসুর গ্রামের কামালের ছেলে সালাম (৩২), রাজধানীর মিরপুর থানার গোলারটেক এলাকার মৃত ফুল মাহমুদের ছেলে ওয়াহিদুর রহমান (৪৬) এবং অপুসহ অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জন।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী বাদল খাঁন বলেন, সাভার থানাধীন বিলামালিয়া মৌজার আরএস ১৪০, ১৪১, ১৪৩, ১৪৪, ১৪৮, ১৫২, ১৫৩, ১৫৫ নম্বর দাগের মোট ২৩০ শতাংশ জমি ক্রয় এবং বায়না সূত্রে চার জন অংশীদার মালিক হয়েছেন। সেখানে আল মদিনা হাউজিং প্রকল্পের অফিস নির্মাণ করে সম্পত্তির ভেতরে সাইনবোর্ড লাগিয়ে বিভিন্ন প্লটের নির্মাণ কাজ করতেছেন। যার মধ্যে বেশকিছু প্লট বিক্রিও করা হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, সম্প্রতি বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ রকিব হোসেন ও তার বাহিনীর সদস্যরা আল মদিনা হাউজিংয়ের অফিসে এসে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছেন। তাদের কথামতো চাঁদার টাকা না দেওয়ায় সম্পত্তি থেকে কোনও প্লট বিক্রি করতে দেবেন না জানিয়ে হুমকি দেয় সন্ত্রাসীরা। তারপরও চাঁদার টাকা না দেওয়ায় গত ১৭ মার্চ রকিব হোসেন, রাসেল, রতন শেখ, ওয়াহিদুর রহমান, অপু, সালামসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন হাউজিংয়ের সম্পত্তিতে জোরপূর্বক প্রবেশ করে আতিকুল আলম ও কেয়ারটেকার আব্দুল মজিদকে মারধর করে হাউজিংয়ের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়ে বিভিন্ন প্লটের মালিকদের নামে স্থাপিত সাইনবোর্ড, অফিসে ও গেইটে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙচুর করে নিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে ১৮ মার্চ তারা শহিদুললের নেতৃত্বে রকিব হোসেন, রাসেল, রতন শেখ, ওয়াহিদুর রহমান, অপু, সালামসহ অজ্ঞাতনামা অনেকে হাউজিং প্রকল্পের অফিসের ভেতরে থাকা বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করে হাউজিংয়ের নির্মাণ খরচ বাবদ রক্ষিত নগদ সাড়ে ৮ লাখ টাকা, হাউজিংয়ের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রসহ অফিসে থাকা ২টি ল্যাপটপ, ২টি কম্পিউটার প্রিন্টারসহ দশ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে যান। এখনও তারা আমাদের হাউজিংয়ের সামনে মহড়া দেওয়ায় আমরা আতংকে আছি। বিষজটি জানিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও পুলিশ কোনও ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না।
সাভার ট্যানারি ফাঁড়ির ইনচার্জ সিরাজুল ইসলা সবুজ বলেন, জমি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি জানিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে উভয়পক্ষ। বিষয়টি তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।