মিয়ানমারে রোহিঙ্গা ও অন্যান্য সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের একটি সম্মেলন আয়োজনের পরিধি, কাঠামো, পদ্ধতি ও আয়োজন-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে। মালয়েশিয়া ও ফিনল্যান্ডের পৃষ্ঠপোষকতায় এ প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং গতকাল বুধবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়।
এতে বলা হয়, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মো. সালাহউদ্দিন নোমান চৌধুরী উন্মুক্ত বিতর্ক পর্বে হস্তক্ষেপ করে প্রস্তাবের ওপর ভোটের আহ্বান জানান। রাশিয়া এতে কয়েকটি সংশোধনী প্রস্তাব করেছিল, যা বাংলাদেশ গ্রহণ করেনি। সাধারণ পরিষদের সভাপতি ভোটগ্রহণের উদ্যোগ নিলে প্রস্তাবটি ১৪১ ভোটে গৃহীত হয়। এ প্রস্তাবের বিপক্ষে কোনো ভোট পড়েনি, তবে ১০টি দেশ ভোটদান থেকে বিরত থাকে। এ প্রস্তাব গ্রহণের বিষয়টি রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষ করে এমন সময়ে এটি নেওয়া হলো যখন আগামী সেপ্টেম্বরে নিউ ইয়র্কে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে একটি বিশেষ সম্মেলন আয়োজনের পরিকল্পনা করছে ঢাকা।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতন ও গণহত্যার মুখে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে স্রোতের মতো ঢুকতে শুরু করে রোহিঙ্গারা। কয়েক মাসের মধ্যে সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে আশ্রয় নেয়। যেখানে আগে থেকেই ক্যাম্পে বসবাস করছিল আরও চার লাখ।