গত মাসে হামাসের বিরুদ্ধে পুনরায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েল নাটকীয়ভাবে গাজা উপত্যকায় সীমানা প্রসারিত করেছে। তারা এখন উপত্যকাটির ৫০ শতাংশেরও বেশি অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে এবং বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের ভূমি ক্রমশ সংকুচিত হচ্ছে।
ইসরায়েলি মানবাধিকার গোষ্ঠী ব্রেকিং দ্য সাইলেন্সের বরাতে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, গাজা সীমান্তের আশপাশে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা সবচেয়ে বড় এলাকা, যেখানে সামরিক বাহিনী ফিলিস্তিনিদের বাড়িঘর, কৃষিজমি এবং অবকাঠামো ধ্বংস করে দিয়েছে যেখানে বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সম্প্রতি এই সামরিক বাফার জোনের আকার দ্বিগুণ হয়েছে।
ইসরায়েলি সৈন্যরা নেটজারিম করিডোর নামে পরিচিত গাজা জুড়ে জমিও দখল করেছে, যা গাজা সিটিসহ উত্তরাঞ্চলকে বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে। যেখানে ২০ লাখেরও বেশি লোকের আবাসস্থল রয়েছে।
ইসরায়েলের জারি করা একটি মানচিত্র অনুযায়ী, গত মাসে যখন ইসরায়েল পুনরায় যুদ্ধ শুরু করে। তখন তারা বাফার জোনের আকার দ্বিগুণ করে, কিছু জায়গায় এটি ৩ কিলোমিটার (১.৮ মাইল) পর্যন্ত বিস্তৃত।
১৮ মাস আগে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল সীমান্তের কাছে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া এলাকা এবং বাফার জোনের ধারাবাহিক সম্প্রসারণ চলছে বলে পাঁচ ইসরায়েলি সেনা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে জানিয়েছেন।
বেন গুরিয়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ অধ্যয়নের অধ্যাপক ইয়াকভ গার্বকে উদ্ধৃত করে এপি জানিয়েছে, বাফার জোন ও নেটজারিম করিডোর উপত্যকার কমপক্ষে ৫০ শতাংশ এলাকা জুড়ে বিস্তৃত।
গত সপ্তাহে নেতানিয়াহু বলেছিলেন, ইসরায়েল আরেকটি করিডোর তৈরি করতে চায়, যা দক্ষিণ গাজার মধ্য দিয়ে রাফাহ শহরকে বাকি অঞ্চল থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে। গাজায় ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণ বেশি, এমন অঞ্চলগুলো বিবেচনায় নিয়ে যেখানে তারা সম্প্রতি পরিকল্পিত হামলার আগে বেসামরিক নাগরিকদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
মানবাধিকার গোষ্ঠী ও গাজা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইসরায়েলের দখলে থাকা ভূমি, যার মধ্যে একটি করিডোর রয়েছে যা অঞ্চলটির উত্তরকে দক্ষিণ থেকে বিভক্ত করে, দীর্ঘমেয়াদী নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহার করতে পারে।