ভারতীয় বিএসএফ বাংলাদেশি যুবক মুরাদুর রহমান মুন্নাকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে দলের সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এই নিন্দা জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, গতকাল বুধবার ভারতীয় বিএসএফ বিজয়নগর উপজেলার সেজামুড়া সীমান্তের বাংলাদেশি যুবক মুরাদুর রহমান মুন্নাকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। নিহত মুন্নার পরিবার জানিয়েছে সীমান্ত এলাকায় তার কৃষি জমি দেখতে গেলে ভারতীয় বিএসএফ বাহিনীর কয়েকজন তাকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে আহত করে বাংলাদেশ সীমান্তে ফেলে রেখে যায়। বিজিবির টহলরত সদস্যরা আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি বিএসএফ বাংলাদেশ সীমান্তে প্রায়ই বিনা কারণে বাংলাদেশিদের পাখির মতো গুলি করে হত্যা করে এবং ধরে নিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে হত্যাকাণ্ড শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসার জন্য ভারত বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের বিজিবির সঙ্গে ভারতীয় বিএসএফের একাধিক বৈঠকের পরেও সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা ও নির্যাতন কোনোভাবেই বন্ধ হচ্ছে না। ভারতীয় বিএসএফের এমন আগ্রাসী আচরণে বাংলাদেশের জনগণ মারাত্মকভাবে ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত। বিএসএফের এ ধরনের আচরণই প্রমাণ করে ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ সব সময়ই প্রতিবেশীদের কাছে বন্ধুসুলভ আচরণ কামনা করে। আমরা আশা করব ভারত সরকার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধ করবে এবং মুন্নাকে হত্যা করার ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।
বাংলাদেশি নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করার লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং ভারতীয় আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।