মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি

পুতিনকে চিঠি ইরানের খামেনির

আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫৪ এএম

পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে জানাতে রাশিয়া সফরে গেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। তার মাধ্যমে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে একটি চিঠি দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান পারমাণবিক আলোচনা সম্পর্কে ক্রেমলিনকে জানানো হয়েছে।

আরাঘচি ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেন, পারমাণবিক ইস্যুতে আমাদের সব সময় বন্ধুরাষ্ট্র চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ আলোচনা হয়েছে। এখন রুশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরামর্শের এটি একটি ভালো সুযোগ। সেই সঙ্গে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার অধিকার নিয়ে কোনোভাবেই আলোচনা সাপেক্ষ নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি। গত সপ্তাহে ওমানে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন ও ইরানের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। উভয় পক্ষই আলোচনা ইতিবাচক ও গঠনমূলক হয়েছে বলে জানিয়েছে। এ সপ্তাহের শেষ দিকে রোমে দ্বিতীয় দফা বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। 

তেহরানের দীর্ঘদিনের মিত্র রাশিয়া ইরানের পরমাণুবিষয়ক আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। কারণ, রাশিয়া জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য এবং ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তির অন্যতম স্বাক্ষরকারী। যে চুক্তি থেকে ট্রাম্প ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন। আরাঘচি আরও জানান, পুতিনকে দেওয়া চিঠিতে আঞ্চলিক ও দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয়ও তুলে ধরা হয়েছে। চিঠি দেওয়ার পরে আরাঘচির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন পুতিন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের ওপর সামরিক বল প্রয়োগের হুমকি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যদি ইরান পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তিতে না আসে, তাহলে তৃতীয় কোনো দেশ যদি ইরানের কাছ থেকে তেল কেনে, তাদের ওপরও শুল্ক আরোপ করা হবে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে অতিরিক্ত যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে, যাতে ইরানের ওপর সামরিক চাপ বাড়ানো যায়।

পশ্চিমা দেশগুলো বলছে, ইরান যে পরিমাণ ইউরেনিয়াম সংগ্রহ করেছে তা প্রয়োজনের মাত্রার চেয়ে অনেক বেশি। এ পরিমাণ পারমাণবিক বোমা তৈরির উপযোগী মাত্রার কাছাকাছি। তবে ইরান বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত