জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘আগামী ডিসেম্বরে নির্বাচন হবেন বলে তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) ঘোষণা দিয়েছেন। আমরা নির্বাচন চাই। নির্বাচনের আগেই খুনিদের বিচার ও প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে হবে। প্রয়োজনীয় সংস্কার ছাড়া পেশিশক্তির নির্বাচন দেশবাসী মেনে নেবে না। এ জন্য যেকোনো নির্বাচনের আগে অবশ্যই দুটি কাজ সম্পন্ন করতে হবে। একটি হচ্ছে খুনিদের বিচার, এটা দৃশ্যমান হতে হবে। আরেকটি হচ্ছে প্রয়োজনীয় সংস্কার। কালো টাকার ভোট চাই না।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকাল ৬টায় নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলা স্টেডিয়াম মাঠে বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার না হলে জনগণ কোনো নির্বাচন মেনে নেবে না বলে উল্লেখ করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে সরকারকে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত পূরণ করতে হবে। সেগুলো হলো— বিচার, সংস্কার ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ব্যবস্থা।
তিনি বলেন, হাজারো প্রাণের বিনিময়ে দেশে পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে। এ পরিবর্তনের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হলে সংস্কার অপরিহার্য। রাজনৈতিক দলগুলো যত দ্রুত আন্তরিকতা নিয়ে এগিয়ে আসবে, তত দ্রুত নির্বাচনমুখী পরিবেশ তৈরি হবে।
দলটির সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম এখনও জেলে কেন এমন প্রশ্ন করে জামায়াত আমির বলেন, সরকারকে জবাব দিতে হবে। অচিরেই এই জননেতাকে জনগণের বুকে ফেরত দিন। মুক্তি না দিলে পুনরায় রাজপথে আন্দোলন শুরু হবে।’
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদীদের পতন হলেও ফ্যাসিবাদের পতন হয়নি। আমরা ফ্যাসিবাদীদের ছেড়ে দেব না। এদেশে ফ্যাসিবাদীদের তছনছ করে দেওয়া হবে। এখনও সড়ক সর্বত্রই চাঁদাবাজ আর দখলবাজদের অত্যাচারে মানুষ অতিষ্ঠ। এসব চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে শুরু করেছে।
ভারতের সঙ্গে সম্প্রীতি, শ্রদ্ধা ও সমতার ভিত্তিতে বসবাসের দাবি জানিয়ে জামায়াত আমির বলেন, আমরা ভালো থাকলে, তারাও ভালো থাকবে। আমাদের ভালোটা কেড়ে নিলে ভারতকে চিন্তা করতে হবে, তারা ভালো থাকবে কিনা।
জনসভায় জলঢাকা উপজেলা জামায়াতের আমির মোখলেছুর রহমান মাস্টারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের পরিচালক মাওলানা আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের সহকারী পরিচালক অধ্যক্ষ মাওলানা মমতাজ উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের টিম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল, রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের টিম সদস্য মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ, কেন্দ্রীয় মজলিশের শুরা সদস্য ও নীলফামারী জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সাক্তার, ও জেলা মজলিশের শুরা সদস্য মাওলানা ওবায়দুল্লাহ সালাফী।