ভারতের হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের একটি স্ট্যান্ড থেকে দেশটির সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আজহারউদ্দিনের নাম মুছে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এইচসিএ)। ফিক্সিং ইস্যুতে ক্যারিয়ার শেষ করা খ্যাতিমান এই অধিনায়কের বিরুদ্ধে স্বার্থ-সংঘাতের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় বেজায় চটেছেন আজহারউদ্দিন, সেই সঙ্গে আদালতে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন।
রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে যখন আজহারের নামে স্ট্যান্ড হয়েছিল, তখন তিনি সেই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছিলেন। যে সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়, সেই সভার সভাপতিও ছিলেন আজহারউদ্দিন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, জোর করে নাকি নিজের নামে স্ট্যান্ডের নামকরণ করেছেন। এমনকি, টিকিটে যে তার নাম থাকবে সেটিও তিনিই ঠিক করেছিলেন। চলতি বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি আজহারের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ আনে লর্ডস ক্রিকেট ক্লাব।
আজহারউদ্দিনের নাম যুক্ত হওয়া গ্যালারিটি আগে ভারতের আরেক সাবেক ক্রিকেটার ভিভিএস লক্ষ্মণের নামে ছিল। এর মাধ্যমে স্বার্থের সংঘাতের অভিযোগ আনা হয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতায় হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের এথিক্স অফিসার ও অম্বুডস্ম্যান বিচারপতি ভি ঈশ্বরাইয়া আজহারের নাম সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন। অবশ্য এই ঘটনার পর হাল ছাড়তে রাজি নন আজহারউদ্দিন। তিনি আদালতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
স্থানীয় গণমাধ্যমকে আজহারউদ্দিন বলেছেন, ‘এখানে স্বার্থসংঘাতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমি এই বিষয়ে মন্তব্য করব না। আমি এতটা নীচে নামতে পারব না। ১৭ বছর ক্রিকেট খেলেছি, ১০ বছর দেশের অধিনায়ক ছিলাম। তার বিনিময়ে আমি এই পেলাম! হায়দরাবাদে কি ক্রিকেটারদের সঙ্গে এমন আচরণই করা হয়? লোকে দেখলে তো হাসবে। আমরা হাইকোর্টে যাব। আদালতই সিদ্ধান্ত দেবে।’
উল্লেখ্য, ভারতের হয়ে ১৯৮৫ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত ৯৯ টেস্ট ও ৩৩৪টি ওয়ানডে খেলেছেন আজহারউদ্দিন। তার নেতৃত্বে নেতৃত্বে তিনটি বিশ্বকাপ খেলেছে ভারত। ২০০০ সালে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের দায়ে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ হওয়ার পর ২০১২ সালে আদালত কর্তৃক অভিযোগ থেকে মুক্তি পান। ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তিনি হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন।