খুলনা দিবসে বক্তারা বলেছেন, খুলনা বিভাগীয় শহর হলেও বিভাগীয় শহরের সকল সুযোগ-সুবিধা নেই। এক সময় শহর অনেক জাঁকজমক ছিল। কলকারখানা সচল ছিল। সন্ধ্যার পর শহর আলোয় ঝলমল করত। কিন্তু এখন সেই আগের অবস্থা নেই। তাই খুলনাকে আবার সেই জায়গায় নিয়ে আসতে হবে। নতুন নতুন শিল্প কলকারখানা স্থাপন করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। বিশেষ করে প্রান্তিক মানুষের উন্নয়নে দরকার কর্মসংস্থান। তাই এ লক্ষ্যে সকলকে কাজ করতে হবে। এছাড়া সকল দাবি আদায়ে খুলনার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। পাইপ লাইনে গ্যাস সরবরাহ, বিমান বন্দর চালু ও খেলাধুলার সুযোগ তৈরিতে সোচ্চার থাকতে হবে।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) জেলা প্রতিষ্ঠার ১৪৩ বছর পূর্তিতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে পালিত হয়েছে ‘খুলনা দিবস’। এ উপলক্ষ্যে বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির উদ্যোগে নগরীতে দিনব্যাপী সমাবেশ, র্যালী, মেজবান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সকাল ১০টায় নগরীর শিববাড়ী মোড়ে প্রধান অতিথি খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ও খুলনা সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. ফিরোজ সরকার শান্তির প্রতীক পায়রা, বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উন্নয়ন কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামান। সংগঠনের মহাসচিব অ্যাডভোকেট শেখ হাফিজুর রহমান হাফিজের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তৃতা করেন, বিভাগীয় কমিশনার ও খুলনা সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. ফিরোজ সরকার, রেঞ্জ ডিআইজি মো. রেজাউল হক, কেএমপি কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দার, জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম, খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এস এম শফিকুল আলম মনা, সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল আলম তুহিন, খুলনা জেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান মন্টু, খুলনা মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান প্রমুখ।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানের পর বিশাল বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শিববাড়ি মোড়ে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় পালকি, ঘোড়ার গাড়ি, সাইক্লিং, আদিম মানুষ, জেলে, রোভার স্কাউট, গার্লস গাইড, ব্যান্ড পার্টি অংশ নেয়। খুলনা দিবস উপলক্ষ্যে উন্নয়ন কমিটির পক্ষ থেকে স্মরণিকা প্রকাশ করা হয়।
উল্লেখ্য, ১৮৮২ খিস্টাব্দের ২৫ এপ্রিল গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে খুলনাকে জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি এই দিনটিকে প্রতি বছর নানাবিধ কর্মসূচির মাধ্যমে পালন করে আসছে।