চট্টগ্রামে পাঁচদিন আগে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় পেট্রোলবোমা হামলায় দগ্ধ লায়লা বেগম (৫০) মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের রাউজান পৌরসভার নিজ বাড়িতে আনার পর মধ্যরাতে মারা যান তিনি। তার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন ভিকটিমের স্বামী আব্বাস উদ্দিন। গত রবিবার ভোর ৪টা ৫৫ মিনিটের দিকে নগরের আতুরার ডিপো চামড়া গুদামের সামনে সিএনজি অটোরিকশায় পেট্রোলবোমা নিক্ষেপের ঘটনায় দুই যাত্রী লায়লা বেগম (৫০) ও তার পুত্রবধূ ঝর্ণা বেগম (৩০) দগ্ধ হন।
ওই দিন ভোরে সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে কুতুবদিয়া মালেক শাহ’র দরবারে যাচ্ছিলেন তারা। আতুরার ডিপো এলাকায় পেঁৗঁছালে মোটরসাইকেলে আসা তিন দুর্বৃত্ত তাদের বহনকারী গাড়ি লক্ষ্য করে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। এ সময় অটোরিকশায় থাকা ৫ যাত্রীর মধ্যে দুজন দগ্ধ হন। তাৎক্ষণিক তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর ঝর্ণা বেগমকে ছেড়ে দেওয়া হলেও সেদিনই উন্নত চিকিৎসার জন্য লায়লা বেগমকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছিল।
এদিকে পেট্রোলবোমা ছোড়ার ঘটনায় গত পাঁচদিনেও জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। নাশকতার এ ঘটনায় নগরের বায়েজিদ বোস্তামি থানা পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী সাইফুল ইসলাম ওরফে বার্মা সাইফুলের সহযোগীরা জড়িত থাকার তথ্য রয়েছে পুলিশের কাছে। তবে ঘটনায় জড়িতদের পুলিশ খুঁজছে বলে জানিয়েছেন বায়েজিদ বোস্তামি থানার ওসি আরিফুর রহমান।