শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১২ রান, শেষ চার বলে ১১। এই অবস্থায় তৃতীয় বলে চার, পঞ্চম বলে ছয় ও শেষ বলে সিঙ্গেল নিয়ে টানটান উত্তেজনার ম্যাচে গাজী গ্রুপের বিপক্ষে মোহামেডানকে জেতালেন নাসুম আহমেদ। আর এই জয়ে ডিপিএল সুপার লিগের শেষ রাউন্ডের আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচটি হয়ে উঠলো অলিখিত ফাইনাল। দুই পয়েন্টে পিছিয়ে থাকলেও ওই ম্যাচে জিতলে মুখোমুখি হিসাবে শিরোপা ঘরে তুলতে পারবে মোহামেডান। আর হেরে গেলে কিংবা টাই হলে আবাহনী হবে চ্যাম্পিয়ন।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের দলে জায়গা পেয়ে চট্টগ্রামে রয়েছেন নিয়মিত অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়। তার না থাকায় রান তোলার ভার নিজ কাঁধে তুলে নেন মুনিম শাহরিয়ার। তার ৮০ রানে ভর করে ২৩৬ রান তোলে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। মোস্তাফিজুর রহমান ও সাইফ উদ্দীন শিকার ধরেন তিনটি করে। সহজ লক্ষ্যে ধীরগতিতে ৫৫ রানের সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেন রনি তালুকদার। শুক্রবার বিসিবিতে তামিমদের বৈঠকের পর নিষেধাজ্ঞা পিছিয়ে খেলার সুযোগ পাওয়া অধিনায়ক তাওহীদ হৃদয় ৫৪ বলে করেন ৩৭ রান। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাট থেকে আসে ৪৯ রান।
কিন্তু সপ্তম উইকেটে ৩৩ রানের জুটি গড়ার পথে ১৩ বলে ১ চার, ২ ছক্কায় ২১ রানের ম্যাচ জেতানো ক্যামিও উপহার দেন নাসুম। এমন একটি ম্যাচ জিতিয়ে তিনি বলেন, ‘খেলতে হলে বিশ্বাস রাখতে হবে নিজের প্রতি। যেকোনো সময় যেকোনো কিছু করা সম্ভব। বিশ্বাসটা ছিল নিজের উপর। উপরের দিকে তাকিয়ে প্রার্থনা করছিলাম আজকে যেনে আল্লাহ আমাকে হিরো বানিয়ে দেন। আমি আমার চেষ্টাটুকু করেছি।’