ফেনী সরকারি কলেজের প্রধান ফটকের সামনে ও সড়কের ফুটপাতে অস্থায়ী দোকান থেকে প্রতিদিন জিল্লুর রহমান নামের এক ছাত্রদল নেতা চাঁদাবাজি করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ও জেলা ছাত্রদলের সহসম্পাদক। এ ঘটনায় সংবাদ প্রকাশের জের ধরে স্থানীয় দৈনিক ফেনীর সময়ের চিফ রিপোর্টার আরিফ আজমকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন তিনি।
সরেজমিনে জানা গেছে, কলেজের প্রধান ফটকের সামনের সড়কের ফুটপাতে প্রতিদিন বিকেলে ফুচকা, আইসক্রিম ও শরবতের ১০টি দোকান বসে। শহরের মাঝখানে খোলামেলা এ পাইলট হাই স্কুল মাঠে বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ এখানে ঘুরতে বের হন। যার ফলে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পটপরিবর্তনের পর প্রতিটি দোকান থেকে দিনপ্রতি ৫০ টাকা করে চাঁদা দাবি করেন জিল্লুর। এভাবে প্রতিমাসে এখান থেকে প্রায় ১৫ হাজার টাকা চাঁদাবাজি করা হয়।
বিষয়টি নিয়ে দোকানিদের মাঝে ক্ষোভ থাকলেও হয়রানি কিংবা দোকান তুলে দেওয়ার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস করেন না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক দোকানদার জানান, জিল্লুর নামে এক নেতা প্রতিদিন দোকানপ্রতি ৫০ টাকা আদায় করেন। জিল্লুরের পক্ষে চাঁদার টাকা তাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে কলেজের নিরাপত্তা প্রহরী রবিউল হক মিলন।
এ বিষয়ে রবিউল হক মিলন ফুটপাতের দোকান থেকে চাঁদা নেওয়ার কথা স্বীকার করলেও কার জন্য এ টাকা আদায় করা হয় তার নাম প্রকাশ করেননি। এ ব্যাপারে জিল্লুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে চাঁদাবাজির বিষয়টি অস্বীকার করেন।
ফেনী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক আবদুল হালিম মানিক জানান, চাঁদাবাজির ঘটনায় কলেজ ছাত্রদলের কেউ জড়িত কিনা বিষয়টি জানা নেই। সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ পেলে জেলা নেতৃবৃন্দকে জানানো হবে।
এদিকে সোমবার দৈনিক ফেনীর সময় এ ‘ফেনী কলেজ গেইটে ফুটপাতে অস্থায়ী দোকান থেকে ছাত্রদল নেতার চাঁদাবাজি’ সংবাদ প্রকাশিত হলে জিল্লু ক্ষুদ্ধ হয়ে আরিফ আজমকে ফোনে হত্যার হুমকি দেন। এ বিষয়ে আরিফ আজম ফেনী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
ফেনী মডেল থানার ওসি সামছুজ্জামান বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। তদন্ত করে হুমকিদাতাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
ফেনী জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সালাউদ্দিন মামুন বলেন, আমরা জেলার নেতৃবৃন্দ বিষয়টি জেনেছি, হত্যার হুমকি ও চাঁদাবাজির বিষয়টি শিগগিরই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।