মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

বগুড়ায় ৮১ লাখ টাকা ব্যয়ে রাস্তা নির্মাণে অনিয়ম, অভিযানে দুদক

আপডেট : ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:১৭ পিএম

বগুড়ার শিবগঞ্জে ৮১ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত রাস্তার অনিয়ম ও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ তোলে স্থানীয়রা। এসব অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা ইউনিয়নের মুরাদপুর এলাকায় সরজমিনে রাস্তাটি পরিদর্শন করেন দুদক বগুড়ার সহকারী পরিচালক জাহিদুল ইসলাম ও অন্যান্য কর্মকর্তারা করেন এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন।

জানা যায়, সম্প্রতি বগুড়ার শিবগঞ্জে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অর্থায়নে ৮১ লাখ টাকা ব্যয়ে মোকামতলা ইউনিয়নের মুরাদপুর সড়ক থেকে চাকলমা পর্যন্ত ২ কিলোমিটারে বেশি রাস্তা নির্মাণ কাজের ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ করেছেন, রাস্তার কাজে অত্যন্ত নিম্নমানের ইট ও বালু ব্যবহার করা হয়েছে, যা ভালোভাবে রোলার করা হয়নি। পুকুরের ধারে নতুন রাস্তার পাশে যে মাটি দেওয়া হয়েছে তা ভালোভাবে না চাপানোয় আলগা হয়ে আছে। এখানে রাস্তার ধারে যে ইট বসানো হয়েছে, তা বেশ কিছু জায়গায় উপড়ে পাশের খাদে পরে আছে। পিচ ঢালাই রাস্তার ধার ভেঙে গিয়েছে। বেশ কিছু জায়গায় রাস্তা দেবে গিয়েছে। পুরো রাস্তা ভালোভাবে লেভেলিং না হওয়ায় কোথাও উঁচু কোথাও নিচু হয়ে আছে। এর ফলে বিভিন্ন জায়গায় সিএনজি অটোরিকশা ও ভ্যানের চাকা দেবে গিয়ে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।

এদিকে স্থানীয়রা জানান, রাকিব নামে একজন ঠিকাদার কাজটি করেছে। তার সঙ্গে কথা বললে তিনি উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছেন। এদিকে এ নিয়ে স্থানীয়রা অভিযোগ দিয়ে উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে কোনও প্রতিকার পায়। এরপর বিষয়টি দুদকের নজরে আসে। তখন বিষয়টি আমলে নিয়ে মঙ্গলবার এ অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযানে দুদক কর্মকর্তারা প্রথমে রাস্তা পরিদর্শন করেন এবং পরে শিবগঞ্জ এলজিইডি কার্যালয় পরিদর্শন করে রাস্তা সংক্রান্ত সকল কাগজপত্র গ্রহণ করেছেন।

মঙ্গলবার বিকেলে অভিযানের বিষয়ে দুদক বগুড়ার সহকারী পরিচালক জাহিদুল ইসলাম বলেন, নিম্নমানের কাজ হয়েছে স্থানীয়দের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিন রাস্তা পরিদর্শনে যাওয়া। রাস্তা পরিদর্শনকালে ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলা হয় অনিয়মের বিষয়ে।

পরিদর্শন শেষে শিবগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি পরিদর্শন করে রাস্তা সংক্রান্ত সকল কাগজপত্র গ্রহণ করেছেন। এ বিষয়ে নিরপেক্ষ প্রকৌশলী প্রতিবেদন পেলে তা কমিশনে জমা দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, ৮৫ লাখ টাকার কাজটি টেন্ডারে ৮১ লাখ টাকায় ২ কিলোমিটারের বেশি পরিমাণ রাস্তা নির্মাণ কাজের জন্য নির্ধারণ হয়।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত