বরিশালের উজিরপুরে রেজাউল করীম নামে এক ‘ভুয়া’ চিকিৎসককে এক কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।রেজাউল করিম নামে এক ভুয়া ডাক্তারকে এক বছরের সাজা দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) উপজেলার উজিরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাইনুল এ আদেশ দেন। এর আগে রবিবার (২৭ এপ্রিল) ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সুমি রানী মিত্র একটি অভিযান পরিচালনা করেন তাতে বিভিন্ন ধারায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় তাকে।
মাদরাসা থেকে দাখিল পাশ করা সনদবিহীন রেজাউল করিম নিজেকে একজন এমবিবিএস ডাক্তার দাবি করেন। মায়ের দোয়া ক্লিনিক অ্যান্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামক প্রতিষ্ঠান খুলে বছরের পর বছর ধরে রোগীদের অপচিকিৎসা করছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে একাধিক রোগী ও নার্সকে যৌন হয়রানি, মারধর, সাংবাদিকদের লাঞ্চিতসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।
জানা যায়, ওই ক্লিনিকে রোগীদের ভর্তির পরে চিকিৎসা প্রদান বা জটিল অপারেশন করার তথ্য ডায়েরি বা রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ করেন না রেজাউল করিম। এতে তার কাজের কোনো প্রমাণ থাকে না। রোগীদেরকেও কোনো প্রমাণপত্র দেওয়া হয় না। এ ছাড়া তার সনদপত্রে লেখা-‘চার্টার অব অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল অব ইন্ডো অ্যালোপ্যাথি অ্যান্ড কমপ্লিমেন্টারি মেডিসিন’। কিন্তু অনুসন্ধান করে এই নামে সনদপত্র প্রদানকারী কোনো প্রতিষ্ঠান পাওয়া যায়নি।
উজিরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মো. মাইনুল ইসলাম খান বলেন ‘তিনি ভারতের একটি সনদপত্র দেখিয়েছেন তার কোনো বৈধতা নেই। তার যেহেতু এমবিবিএসের সনদ নেই। তাই তিনি ভুয়া ও অবৈধ তাই তাকে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর সালাম জানান, সাজাপ্রাপ্ত রেজাউল করিমকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
