বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

ভারত-পাকিস্তান সংঘাত এড়াতে মধ্যস্থতার প্রস্তাব গুতেরেসের

আপডেট : ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪৬ এএম

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সম্প্রতি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। গতকাল মঙ্গলবার এই টেলিফোন সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।

পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরের ভারত-অধিকৃত অংশে গত সপ্তাহে একটি ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর থেকে দিল্লি ও ইসলামাবাদের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। এই প্রেক্ষাপটেই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনে গুতেরেস তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন।

জাতিসংঘ মহাসচিব এই পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং সম্ভাব্য সংঘাত এড়াতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তাঁর মতে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যেকোনো ধরনের যুদ্ধ ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে। এমন প্রেক্ষাপটে গুতেরেস নিজেকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে উপস্থাপন করে শান্তি প্রচেষ্টায় সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছেন।

এই টেলিফোন আলাপ সম্পর্কে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফান ডুজারিক এক বিবৃতিতে বলেন, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা নিয়ে গুতেরেস উদ্বিগ্ন এবং এ বিষয়ে সংযম বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছেন।

কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার পর এটি প্রথমবার নয়, জাতিসংঘ আগেও দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশীকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছিল। নিউইয়র্কে এক সংবাদ সম্মেলনে মুখপাত্র ডুজারিক বলেন, ‘আমরা উভয় দেশের সরকারকে সর্বোচ্চ সংযম দেখাতে অনুরোধ করছি যাতে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে না যায়। এই অঞ্চলের সব সমস্যা শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হওয়াই শ্রেয়।’

এদিকে পাকিস্তানের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার এক বিস্ফোরক দাবি করে বলেছেন, ভারতের বিরুদ্ধে ইসলামাবাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে যে, আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে ভারত পাকিস্তানের অভ্যন্তরে সামরিক অভিযান চালাতে পারে। তিনি অভিযোগ করেন, কাশ্মীরের পেহেলগাম হামলায় পাকিস্তানকে জড়ানো ভিত্তিহীন অজুহাত দেখিয়ে এ অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত।

এই পরিস্থিতির মধ্যে কাশ্মীর সীমান্তে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের নতুন অভিযোগ তুলেছে ভারত। দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এ নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো পাকিস্তানি সেনারা সীমান্ত পেরিয়ে গুলি চালিয়েছে।

এই ঘটনাগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে দুই দেশের মধ্যে বিরাজমান উত্তেজনা আরও ঘনীভূত হয়েছে, যা গোটা অঞ্চলের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে। জাতিসংঘ মহাসচিব এই পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ সমাধানে অব্যাহত সংলাপের ওপর জোর দিয়েছেন।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত