পর্যটন নগরী কুয়াকাটায় ব্লু বার্ড নামে এক আবাসিক হোটেলে পর্যটককে আটকে রেখে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পর্যটক বাদী হয়ে মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে মহিপুর থানায় একটি মামলা করছেন। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পর্যটক তুহিন ঢাকা মিরপুর এলাকার শেওড়াপাড়া বাসিন্দা আব্দুস সোবহানের ছেলে। গ্রেপ্তাররা হলেন- কুয়াকাটা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি ও আবাসিক হোটেলের মালিক মো. বেল্লাল হোসেন (৪৫), তার সহযোগী রিয়াজ (২৪) শাকিল (২৪)। অপর সহযোগী ইউসুফ হাওলাদার (২৭) পলাতক রয়েছে।
জানা গেছে, সোমবার দিবাগত রাত ৩টায় কুয়াকাটার হোটেল ব্লু বার্ডে একজন পর্যটককে আটকে রেখে মারধর করে ৪০ হাজার টাকা ছিনতাই করে মালিকপক্ষ। আরও ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবিতে একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখে। পরে ভুক্তভোগী পর্যটক তুহিন জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করেন। এরপর মহিপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তালা খুলে পর্যটক তুহিনকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় মহিপুর থানায় চারজনের নামে একটি মামলা করেন ভুক্তভোগী ওই পর্যটক।
ভুক্তভোগী পর্যটক তুহিন জানান, গত ৪ দিন আগে কুয়াকাটার ব্লু বার্ড নামের একটি আবাসিক হোটেলে উঠেন। ১ হাজার টাকা ভাড়া চুক্তিতে ৪ দিন যাবত অবস্থান করেন। তবে হোটেল কর্তৃপক্ষ বেল্লাল হোসেন ও তার সহযোগীরা তার কাছে ৪ দিনে ১২ হাজার টাকা দাবি করলে তিনি তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে রুমে চলে যান। এরপর তারা হোটেলের ১০২ নম্বর রুমে গিয়ে তাকে মারধর করে সঙ্গে থাকা ৪০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে আরও ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে তাকে হোটেল কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখে। পরে তিনি জরুরি সেবা ৯৯৯ কল করে সাহায্য চাইলে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ইউসুফ হাওলাদার পালিয়ে যান।
অভিযোগ রয়েছে কুয়াকাটা পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের যুবদলের সভাপতি বেলাল হোসেনসহ কয়েকজন হোটেলটি ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পতিতাবৃত্তি চালাচ্ছেন।
কুয়াকাটা পৌর যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মো. ফারুক বলেন, ব্যক্তির কোনো দায় দল নেবে না। কুয়াকাটা পৌর যুবদল অত্যন্ত সুসংগঠিত। যুবদলের নাম ব্যবহার করে কেউ অপকর্ম করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মহিপুর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় মহিপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে। পলাতক আসামি ইউসুফ হাওলাদারকে গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
