মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

'আওয়ামী লীগ পালিয়েছে' বলায় বিএনপির ৪ নেতাকর্মীকে কুপিয়ে জখম

আপডেট : ১১ মে ২০২৫, ০৪:২৮ পিএম

কুমিল্লার মুরাদনগরে 'আওয়ামী লীগ পালিয়েছে' বলায় কথা কাটাকাটি ও ঝগড়ার জের ধরে বিএনপির ৪ নেতাকর্মীকে কুপিয়ে আহত করেছে আ. লীগের লোকজন। শনিবার (১০ মে) রাতে উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার পূর্ব ধইর পশ্চিম ইউনিয়নের নবিয়াবাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলো নবিয়াবাদ গ্রামের বিএনপি নেতা ও জিয়া মঞ্চের সদস্য সচিব জুয়েল (৩৮) এবং তার ছেলে সৌরভ (১৯), একই গ্রামের বিএনপি কর্মী জাহের মিয়ার ছেলে জাহিদুল (২০) ও ইউনুস মিয়ার ছেলে শাকিল (১৯)। আহতদের মধ্যে জাহিদুল মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকার এভারকেয়ার হসপিটালের আইসিইউতে, বাকিরা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৩ মে মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরায় অনুষ্ঠিত বিএনপির সমাবেশে যাওয়ার পথে পূর্ব ধইর পশ্চিম ইউনিয়ন বিএনপি নেতা ও জিয়া মঞ্চের সদস্য সচিব জুয়েল মিয়ার ছেলে সৌরভের সঙ্গে একই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মানিক মিয়ার ছেলে জিহাদের বিএনপি-আওয়ামী লীগ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগ পালিয়েছে বলায় দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে বিষয়টি জানতে পেরে দুই পক্ষের অভিভাবকদের মাধ্যমে সুরাহা হলেও এর জের ধরে শনিবার (১০ মে) রাতে নবিয়াবাদ মাদরাসার সামনে মানিক মিয়ার ছেলে জিহাদ ও জিসানের নেতৃত্বে ৫/৬ জনের একটি দল সৌরভের ওপর হামলা চালায়। এ সময় সৌরভকে বাঁচাতে এলে তার বাবা জুয়েল মিয়া ও কাকা শাকিল এবং তার সমবয়সী জাহিদুলকে চোখে, পেটে, পিঠে ও হাতে এলোপাথারী ছুরিকাঘাত করে।

আহত জুয়েলের ভাই বিএনপি নেতা হাবীবুর রহমান বলেন, ছেলেরা ঝগড়া করছে এগুলো নিয়ে তিন দিন আগে এলাকায় সামাজিকভাবে মীমাংসা হওয়ার পরও আমার ভাই, ভাতিজাসহ বিএনপির কর্মীদের ওপর এমন নৃশংস হামলা চালিয়েছে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা। জাহিদুলের অবস্থা খুব খারাপ, তার একটা চোখ খুলে ফেলছে। এখন সে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।

বাঙ্গরা বাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান বলেন, হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত