ডা. শাহাদাত হোসেন
মেয়র, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন
দেশ রূপান্তর : রেগুলেটর পরিচালনায় সিটি করপোরেশনের কোনো জনবল নেই। প্রকল্প শেষ হওয়ার পর সিটি করপোরেশন প্রকল্পের ধারাবাহিকতা চালিয়ে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত কি?
ডা. শাহাদাত হোসেন : সিডিএ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাস্তবায়নাধীন জলাবদ্ধতা প্রকল্পের আওতায় নগরীতে ৪২টি রেগুলেটর বসছে। এ ছাড়া ৩৬টি খাল সংস্কারও করছে। সিটি করপোরেশন নিজে একটি খাল খনন করছে। এসব প্রকল্প শেষ হওয়ার পর এগুলো মেইনটেন্যান্সের জন্য ২ হাজার কোটি টাকার বাজেট দিতে হবে। এই বাজেট ছাড়া জনবল নিয়োগ, রেগুলেটর মেইনটেন্যান্স এবং খালগুলো সংস্কার কার্যক্রম অব্যাহত রাখা সম্ভব হবে না। বিভিন্ন মিটিংয়ে আমরা এই দাবি উত্থাপন করে আসছি এবং প্রধান উপদেষ্টা চট্টগ্রামে এলেও আমরা তা উপস্থাপন করব।
দেশ রূপান্তর : রেগুলেটর বসানোর পর খালগুলোতে যে পলি সঞ্চয়ন হবে, তা নিয়ে কোনো গবেষণা নেই। মহেশখালে বাঁধ দেওয়ার এক বছরের মাথায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে কেটে দিতে হয়েছিল। ৪২টি খালের সমস্যা সিটি করপোরেশন কীভাবে সমাধান করবে?
ডা. শাহাদাত হোসেন : আমরা একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করব। এই কমিটির সদস্যরা খালগুলো নিয়ে যে সুপারিশ দেবে সেই অনুযায়ী আমরা কাজ করব। ইতিমধ্যে আমাদের বিশেষজ্ঞ টিম আগ্রাবাদ বক্স কালভার্ট নিয়ে যে সুপারিশ দিয়েছে, তা সবার মাঝে প্রশংসিত হয়েছে। একইভাবে আমরা খালের পলি সঞ্চয়নসহ জলাবদ্ধতা নিরসনে নানা সমস্যা সমাধানে বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ গ্রহণ করব।
দেশ রূপান্তর : নগরীর নালা ও খালগুলো ভরাটের জন্য অন্যতম দিক হলো বর্জ্য নিক্ষেপ। তাই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ছাড়া কি জলাবদ্ধতার সুফল পাওয়া যাবে?
ডা. শাহাদাত হোসেন : বর্জ্যকে শক্তিতে রূপান্তর করতে হবে। আমরা নগরীর বর্জ্যগুলো সংগ্রহ করে সেগুলো থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রকল্প নিচ্ছি। এজন্য অনেক বিদেশি কোম্পানি আমাদের কাছে প্রস্তাবনা নিয়ে আসছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই করে শিগগিরই আমরা জি টু জি ভিত্তিতে বর্জ্যকে শক্তিতে রূপান্তরের প্রকল্প গ্রহণ করব।
দেশ রূপান্তর : নগরীর ৫৭টি খালের মধ্যে ৩৭টি খাল জলাবদ্ধতার দুই প্রকল্পের আওতায় সংস্কার হচ্ছে। অবশিষ্ট ২০টি খাল নিয়ে সিটি করপোরেশনের পরিকল্পনা কী?
ডা. শাহাদাত হোসেন : পুরোদমে জলাবদ্ধতা নিরসন করতে হলে ৫৭টি খালের পাশাপাশি নালাগুলোও সংস্কার করতে হবে। এজন্য অবশিষ্ট ২০টি খাল ও প্রধান নালাগুলো সংস্কারের জন্য সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে নতুন একটি প্রকল্প নেওয়া হবে। অন্যথায় জলাবদ্ধতা নিরসনে পুরোপুরি সুফল পাওয়া যাবে না।