সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

জুলাই- আগস্ট গণহত্যা  

জাতিসংঘের প্রতিবেদনকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে সংরক্ষণে রুল 

আপডেট : ১৪ মে ২০২৫, ০৬:৩৬ পিএম

জুলাই- আগস্টে গণঅভ্যুত্থান ও গণহত্যা নিয়ে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং প্রতিবেদনকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে সংরক্ষণ করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, এ মর্মে রুল দিয়েছে উচ্চ আদালত। একই সঙ্গে এ প্রতিবেদন এভিডেন্স হিসেবে সংরক্ষণ, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জানা ও ধারণার জন্য রাখা ও গবেষণার উদ্দেশ্যে সংরক্ষণে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট।

এক আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে বুধবার (১৪ মে) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ রুল দেয়। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী তানভীর আহমেদ। গত বছরের ১৩ আগস্ট তিনি হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেছিলেন। এতে গণহত্যাকারী ও স্বৈরশাসককে টিকিয়ে রাখতে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আরজি জানান তিনি। তখন হাইকোর্ট সাধারণ জনগণের হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ বিচারের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছিল। এর ধারাবাহিকতায় জাতিসংঘের প্রতিবেদনটি যুক্ত করে সম্পূরক আবেদন করেন আইনজীবী তানভীর আহমেদ। 

গত ফেব্রয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে জাতিসংঘরে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সাবেক সরকার (আওয়ামী লীগ) এবং এর নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা বাহিনী আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সহিংস উপায় ব্যবহার করে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘণ করেছে। এতে ১৪০০ মানুষকে হত্যা করা হয় যাদের ১২ থেকে ১৩ শতাংশ শিশু। 

ব্যারিস্টার তানভীর আহমেদ দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘জাতিসংঘের প্রতিবেদনে জুলাই আন্দোলনের সংগঠিত ম্যাসাকারের বিষয়টি উঠে এসেছে। এটি একটি  আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বতন্ত্র দলিল যা বিচারে যেমন কাজে আসবে তেমনি ভবিষ্যত প্রজন্মও জানতে পারবে যে একটা স্বৈরশাসককে বিরুদ্ধে আন্দোলন করে অসংখ্য মানুষ আত্মাহুতি দিয়েছিল। তাই এই গুরুত্বপূর্ণ এই প্রতিবেদন সংরক্ষনে আবেদনটি করেছিলাম। আদালত রুল দিয়েছেন।’ 

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত