রোববার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

ভারতে বজ্রপাতে নিহত ৯

আপডেট : ১৭ মে ২০২৫, ১১:২২ এএম

ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ওড়িশার বিভিন্ন এলাকায় বজ্রপাতে একদিনে ৯ জন নিহত এবং কয়েকজন আহত হন। নিহতদের মধ্যে ৬ জনই নারী। রাজ্য প্রশাসনের তথ্য অনুসারে, নিহতদের মধ্যে ৩ জন কোরাপুট, ২ জন জাজপুর, ২ জন গাঞ্জাম, একজন ধেনকেনাল এবং একজন গাজাপাতি জেলার বাসিন্দা ছিলেন।

কোরাপুট জেলার এক পুলিশ কর্মকর্তা ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি অনলাইনকে বলেন, শুক্রবার (১৬ মে) বজ্রপাতে যে তিনজন নিহত হয়েছেন তারা একই পরিবারের সদস্য। অন্যান্য দিনের মতো শুক্রবার সকালেও তারা খেতে কাজ করতে গিয়েছিলেন। ব্যাপক বর্ষণ শুরু হওয়ার পর তারা খেতের নিকটস্থ একটি খালি চালাঘরে আশ্রয় নেন। সেই চালাঘরের ওপর বজ্রপাত হয় এবং ৩ জন নারী ঘটনাস্থলেই নিহত হন। নিহতরা হলেন ব্রুধি মানডিঙ্গা (৬০), তার নাতনি কাসা মানডিঙ্গা (১৮) এবং অম্বিকা কাশী (৩৫)।

এই নিহতদের সঙ্গে গুরুতর আহত হয়েছেন ব্রুধি মানডিঙ্গার স্বামী হিঙ্গু মানডিঙ্গা (৬৫)। তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জাজপুর জেলায় যে ২ জন নিহত হয়েছে, তারা উভয়েই কিশোরবয়সী— তারে হেমব্রম (১৫) এবং টুকুলু ছাত্তার (১২)। জাজপুর পুলিশসূত্রে জানা গেছে, এই দুজনের বাড়ি  বুরুসাহি গ্রামে এবং তাদের মৃত্যু হয়েছে নিজ বাড়িতে অবস্থান করার সময়। শুক্রবার সন্ধ্যায় এ দু’জন নিজেদের কাঁচা বাড়ির বারান্দায় বসেছিল। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাত ঘটে সেই বাড়ির ওপর এবং এই দু’জন ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।

গাঞ্জাম জেলার বারিদা ও বেলাগুন্ঠা গ্রামে ঝড়ের সময় আম কুড়াতে গিয়ে নিহত হয়েছেন একজন কিশোর (১৩০ এবং এক তরুণী (২৩)। বারিদা গ্রামে নিহত কিশোর ওম প্রকাশ প্রধান সপ্তম শ্রেনীর ছাত্র ছিল।

শুক্রবার সন্ধ্যায় ভারতের কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর (আইএমডি) ওড়িশার ৭ জেলায় বজ্রপাত ও মৌসুমি ঝড় সংক্রান্ত লাল সতর্ক সংকেত জারি করেছে। এই জেলাগুলো হলো কোরাপুট, কুট্টাক, খুর্দা, নয়াগড়, জাজপুর, বালাসোর এবং গাঞ্জাম।

প্রতি বছর বর্ষাকালে বজ্রপাতের শত শত মানুষের মৃত্যু হয় ভারতে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতে বজ্রপাতের কারণে মৃত্যুর হার অনেক বেশি। অধিকাংশ মৃত্যু ঘটে দেশটির পূর্বাঞ্চল ও উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত