সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

স্বার্থপর ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনী

আপডেট : ২২ মে ২০২৫, ১২:৩২ এএম

পাড়ার খেলায় এমনটা দেখা যেত, যার ব্যাট সেই ব্যাটিং করে যাচ্ছে। অন্যদের আর সুযোগ দিচ্ছে না। নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ নাঈম এবং এনামুল হক বিজয়ের ব্যাটিং দেখে অনেকেরই মনে পড়বে এমন পাড়ার ক্রিকেটারের কথা। কারণ দুজনেই ছিলেন প্রান্ত বদলে প্রচ- অনাগ্রহী, যেন সতীর্থকে ব্যাট করার সুযোগটাই দিতে চাচ্ছিলেন না! মিরপুরে টসে জিতে আগে ব্যাট করা বাংলাদেশ ‘এ’ দল ৫৭.৩ ওভারে ৪ উইকেটে ২২৫ রান করার পর বৃষ্টি শুরু হলে শেষ হয় প্রথম দিনের খেলা।

একাদশে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের সংখ্যা ৪! নাইম, এনামুল; এরপর জাকির হাসান এবং সাইফ হাসান; দুজনেই বাংলাদেশের টেস্ট দলে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের ভূমিকায় খেলেছেন। জাকির ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের পর দেশে জিম্বাবুয়ে সিরিজে একাদশে জায়গা পাননি পড়তি ফর্মের কারণে। ৬ টেস্ট খেলা সাইফও টেস্ট দলে নেই বছর পাঁচেক হয়। শুরুর ৪ ব্যাটসম্যান প্রত্যেকেই যেন খেলেছেন নিজের জন্য, তাদের ব্যাটিংয়ের ধাঁচ দেখে মনে হয়েছে এমনটাই। ৩১.১ ওভারে ১৩০ রানের উদ্বোধনী জুটি এনামুল আর নাঈমের, এনামুল করেছেন ৯৭ বলে ৪৮ রান। এর ভেতর ৫ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কা, অর্থাৎ ২৬ রান নিয়েছেন ৬ বলে। বাকি ৯০ বল খেলে ২২ রান! নাঈম ৯৪ বলে ৮২ রান করেছেন,সেঞ্চুরিটা পেতেও পারতেন। ৮২ রানের ভেতর ৫২ রান বাউন্ডারিতে, জায়গায় দাঁড়িয়ে। ১০ চার আর ২ ছক্কা, অর্থাৎ ৮১ বলে নিয়েছেন বাকি ৩০ রান! এই প্রস্তর যুগের ব্যাটিং দিয়েও আধুনিক যুগের টেস্ট ক্রিকেটে সফল হওয়া সম্ভব এই দুজন বোধহয় সেটাই প্রমাণ করতে চান।

সাইফের ১২০ মিনিট স্থায়ী ৮৪ বলে ৫১ রানের ইনিংসে ৩টা করে চার ও ছক্কা। অর্থাৎ ৬ বলেই ৩০ রান, বাকি ২১ রান এসেছে ৭৭ বলে। এত স্বার্থপরের মতো ব্যাটিং করেও কেউই খুব একটা মাইলফলক পেলেন না, এটাই আফসোস। নাঈম পাননি সেঞ্চুরি, এনামুল পাননি হাফসেঞ্চুরি, সাইফও হাফসেঞ্চুরি করেই নিয়েছেন বিদায়।

অমিত হাসান আর মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন খেলার সময়ই বৃষ্টি এসে থামিয়েছে। আজ আবার শুরু করবেন দুজনে, ইনিংসটা বড় করার দায়িত্ব তাদের কাঁধেই।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত