বিচারব্যবস্থায় অর্থ ও রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে সৃষ্ট বৈষম্য, জামিন প্রদানে পক্ষপাতিত্ব এবং ‘শাপলা হত্যাকাণ্ড’-এর বিচার দীর্ঘসূত্রিতার অভিযোগ তুলে তীব্র প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। একইসঙ্গে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের অধ্যাপক ও আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের পদত্যাগ চাওয়া উচিত নয় কিনা জানতে চেয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ১ মিনিটে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া একটি স্ট্যাটাসে তিনি এসব অভিযোগ ও মন্তব্য তুলে ধরেন।
বিচারব্যবস্থার সংস্কার বাদ দিয়ে অধিকার দমনের চেষ্টায় ড. ইউনূসের সরকারস্ট্যাটাসে সারজিস আলম অভিযোগ করেন, টাকা আর রাজনৈতিক দলের সুপারিশে অনেক হত্যাকারী আওয়ামী লীগারের জামিন হয়ে যায়। টাকা আর রাজনৈতিক সুপারিশ নাই বলে আওয়ামী আমলে জুলুমের শিকার অনেক মজলুমের জামিন হয় না। শাপলা হত্যাকাণ্ডে হেফাজতের উপরে চাপানো মিথ্যা মামলায় অনেক মজলুম আলেম এখনো আদালতে চক্কর কাটে, কারাগারে বন্দী থাকে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, অথচ এমন অনেক দাগী আসামি বিগত কয়েক মাসে জামিন পেয়েছে যারা বিএনপির সাথে সংযুক্ত হলেও বিএনপির সময়ে তাদের কৃতকর্ম ও অপরাধের জন্য জেলে গিয়েছে। এগুলো কিভাবে হয়? কার সুপারিশে হয়? কোন আইনজীবী এবং বিচারকের প্রত্যক্ষ মদদে হয়?
রায়ের পরও ইশরাকের শপথ না হলে আদালত অবমাননা হবে: ব্যারিস্টার খোকনতিনি আরও লেখেন, প্রকাশ্য দিবালোকে হাসিনার নির্দেশে এতগুলো মানুষ খুন হলো, এতগুলো মানুষের রক্ত ঝরলো, তারপরও নয় মাসে একটা বিচারকার্য সম্পন্ন হয় না ! একটা খুনের বিচার হয় না!
স্ট্যাটাসের শেষ অংশে তিনি আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, এই দায় আইন উপদেষ্টা হিসেবে আসিফ নজরুল স্যার কি কোনো ভাবে এড়াতে পারে? তাহলে কি আমাদের এখন তার পদত্যাগ চাওয়া উচিত নয়?
এর আগে, বেলা ১১টা ৪৯ মিনিটে আরেকটি স্ট্যাটাসে সারজিস আলম লেখেন, মব তৈরি করে যদি হাইকোর্টের রায় নেওয়া যায় তাহলে এই হাইকোর্টের দরকার কি?
