স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম সানোয়ারুল ইসলাম (২৬)। সানোয়ারুল উপজেলার কয়রাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা এবং কারাচাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত।
এর আগে গত রবিবার (১৮ মে) ভুক্তভোগী ছাত্রী বাদী হয়ে শিক্ষক সানোয়ারুলের বিরুদ্ধে মামলা করে। বৃহস্পতিবার মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড় ওঠে শিক্ষক সানোয়ারুলের। বিষয়টি শারীরিক সম্পর্ক পর্যন্ত গড়ায়। সপ্তাহ খানেক আগে ওই ছাত্রীকে নিয়ে মোহনগঞ্জ শহরের শিশুপার্ক এলাকায় ঘুরতে আসেন তিনি। তাদের অস্বাভাবিক ঘনিষ্ঠতা লোকজনের নজরে এলে এলাকার লোকজন তাদের আটক করে। পরে আলোচনা সাপেক্ষে এক পর্যায়ে তারা ছাড়া পান। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে সানোয়ারুলকে বিয়ের চাপ দেয় ওই ছাত্রী। কিন্তু সানোয়ারুল বিয়েতে অস্বীকৃতি জানান। পরে ভুক্তভোগী ছাত্রী বাদী হয়ে সানোয়ারুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করে। তদন্ত করে ১৮ মে মামলা রেকর্ড করে পুলিশ। তবে মামলার পরপরই অসুস্থতা কারণ দেখিয়ে স্কুল থেকে ছুটি নিয়ে পালিয়ে যান সানোয়ারুল।
করাচাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, ধর্ষণের মামলার বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে ১৯ মে থেকে স্কুলে আসেননি শিক্ষক সানোয়ারুল। তিনি অসুস্থতাজনিত ছুটি নিয়ে গেছেন। ৩১ মে পর্যন্ত তার ছুটি রয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল হোসেন স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, অসুস্থতাজনিত কারণে ছুটি নিয়েছেন সহকারী শিক্ষক সানোয়ারুল। চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র জমা দিলে তো আমাদের কিছু করার থাকে না। তবে এ সংক্রান্ত কাগজের কপি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে থাকার কথা।
মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, একাধিকবার ধর্ষণের তথ্য প্রমাণসহ মামলা করেছে ওই ছাত্রী। মামলার পর ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তারে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালনো হয়েছে।