বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

সাক্ষ্য ছাড়াই ফাঁসির রায় হয়েছিল আজহারুল ইসলামের: আপিল বিভাগ

আপডেট : ২৭ মে ২০২৫, ১১:১৫ এএম

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় প্রসঙ্গে আপিল বিভাগ বলেছে, কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ পর্যালোচনা না করেই তাকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছিল। এটি ছিল ‘বিচারের নামে অবিচার’।

আজ মঙ্গলবার আপিল বিভাগের রায়ে আজহারুল ইসলাম খালাস পান। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।

রায়ের পর্যবেক্ষণে সর্বোচ্চ আদালত জানায়, যেসব অভিযোগে আজহারকে দণ্ডিত করা হয়েছিল, সেগুলোর পক্ষে পর্যাপ্ত ও নির্ভরযোগ্য সাক্ষ্য উপস্থাপিত হয়নি। অথচ বিচারিক আদালত তা খতিয়ে না দেখে মৃত্যুদণ্ড দেন, যা ন্যায়বিচারের পরিপন্থী।

রায় ঘোষণার পর গণমাধ্যমের সঙ্গে প্রতিক্রিয়ায় জামায়াতের প্রধান আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, ‘সত্য আজ জয়ী হয়েছে, মিথ্যা পরাজিত হয়েছে। এই রায়ের মাধ্যমে অবশেষে ইনজাস্টিসের অবসান ঘটল।’

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আজহারকে মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এর বিরুদ্ধে তিনি ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আপিল করেন।

শুনানি শেষে আপিল বিভাগ ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর আজহারের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে। পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করেন তিনি।

চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগ রিভিউ আবেদনের শুনানি শেষে সিদ্ধান্ত নেয়, মামলাটি পুনরায় পূর্ণাঙ্গ শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে। মানবতাবিরোধী অপরাধের কোনো মামলায় এটাই প্রথম ঘটনা, যেখানে রিভিউ পর্যায়ে গিয়ে আবার আপিল শুনানির অনুমতি দেওয়া হয়।

এরই ধারাবাহিকতায় আজ আপিল বিভাগ নতুন শুনানি শেষে আজহারুল ইসলামকে দেওয়া মৃত্যুদণ্ড বাতিল করে তাকে খালাস দেয়। এই রায়ের ফলে এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তিতে আর কোনো আইনগত বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত