বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২
দেশ রূপান্তর

সিনহা হত্যা মামলা

ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড বহাল

আপডেট : ০২ জুন ২০২৫, ০৩:০৯ পিএম

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় সাবেক টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ছয় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেকের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানাও বহাল রয়েছে।

আজ সোমবার বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

এর আগে ২৯ মে মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের শুনানি শেষ হয়। তখনই আজকের দিনটি রায়ের জন্য নির্ধারণ করেন আদালত। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শামীমা দিপ্তী, জসিম সরকার এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার সুমাইয়া আজিজ ও লাবনী আক্তার।

প্রায় এক মাস আগে, ২১ এপ্রিল প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নির্দেশে সিনহা হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিষ্পত্তির সিদ্ধান্ত হয়। পরে সব নথি বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি সগীর হোসেনের বেঞ্চে পাঠানো হয়।

২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর সিনহা। অভিযুক্ত ছিলেন বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের তৎকালীন ইনচার্জ লিয়াকত আলী। এরপর ৫ আগস্ট সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস আদালতে মামলা করেন।

একই বছরের ১৩ ডিসেম্বর র‌্যাব তদন্ত শেষে ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে, যেখানে সিনহা হত্যাকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ বলা হয়।

২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল রায় ঘোষণা করেন। তাতে প্রদীপ ও লিয়াকতের মৃত্যুদণ্ড, টেকনাফ থানার এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল রুবেল শর্মা ও সাগর দেবসহ তিন পুলিশ সদস্য এবং স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আইয়াজ ও মো. নিজাম উদ্দিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। বাকি সাত আসামিকে খালাস দেন আদালত।

রায়ের পর ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয় এবং কারাগারে থাকা দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা আপিল করেন। আজ সেই আপিল ও ডেথ রেফারেন্সে চূড়ান্ত রায় দিল হাইকোর্ট।

সর্বশেষ সর্বাধিক পঠিত আলোচিত