চীনা দূতাবাসের আমন্ত্রণে দেশটির ঢাকায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রতিনিধিদল। বুধবার (৪ জুন) ঢাকার চীনা দূতাবাসে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। দলটির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সাক্ষাতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, নির্বাচনী সংস্কার, গণতন্ত্র ও সুশাসন নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এনসিপি প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রদূতের কাছে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক রূপান্তর নিয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করে এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করে এমন কাঠামোগত চ্যালেঞ্জগুলোর কথা তুলে ধরে।
দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, নির্বাচন কমিশনের কাঠামোগত পুনর্গঠন ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করা জরুরি।
বৈঠকে আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে— একটি টেকসই গণতান্ত্রিক পথ কেবলমাত্র জনআকাঙ্ক্ষা ও কাঠামোগত সংস্কারের ওপর ভিত্তি করেই প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পূর্বে ‘জুলাই সনদ’-এর প্রণয়ন ও প্রকাশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই সনদ শুধুমাত্র একটি নীতিগত দলিল নয়, বরং জুলাই আন্দোলনে যারা রাস্তায় নেমে পরিবর্তনের স্বপ্নে প্রাণ দিয়েছেন, তাদের প্রতি আমাদের নৈতিক দায়বদ্ধতাও বটে।
এসময় চীনা রাষ্ট্রদূত হুয়াও ওয়েন এনসিপি প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানান এবং আলোচনার জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, চীন সবসময় অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতিতে বিশ্বাসী। তবে বাংলাদেশের উন্নয়নে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গঠনমূলক সংলাপ জরুরি। তরুণদের অংশগ্রহণ, উন্মুক্ততা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ টেকসই উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য।
বৈঠকে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম এবং যুগ্ম সদস্য সচিব তাহসিন রিয়াজও উপস্থিত ছিলেন। উভয় পক্ষই বাংলাদেশে গণতন্ত্র, শান্তি এবং দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের অভিন্ন লক্ষ্য অর্জনে পারস্পরিক বোঝাপড়া, শ্রদ্ধাশীল সংলাপ এবং কৌশলগত সহযোগিতার গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করে।