খাবার নিতে গিয়ে গাজার ত্রাণকেন্দ্রে ইসরায়েলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে ৩১ জন নিহত হয়েছেন। উপত্যকার স্থানীয় মেডিকেল সূত্রে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। অনেকেই গাজার ইসরায়েলি বাহিনী নিয়ন্ত্রিত এসব ত্রাণকেন্দ্রগুলোকে মরণফাঁদ বলে আখ্যায়িত করছে।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়, নিহতদের মধ্যে রাফাহ ও মধ্য গাজার নেটজারিম করিডরের ত্রাণকেন্দ্রে গুলিতে অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন।
রাফাহ সাইটে আহত আধম দাহমান নামের এক ব্যক্তি এ ঘটনাকে ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের জন্য ‘ফাঁদ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
আল জাজিরা জানিয়েছে, গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) পরিচালিত একটি ত্রাণ কেন্দ্রের কাছে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে অন্তত ১৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলি গোলাগুলিতে আরও প্রায় ১০০ জন আহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, তাদের দিকে এগিয়ে আসা একটি দলকে থামার জন্য সেনারা সতর্কতামূলক গুলি চালিয়েছে। কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
এক নারী জানান, পরিবারের জন্য খাবার সংগ্রহ করতে যাওয়ার সময় তার স্বামীকে মাথায় গুলি করা হয়।
জিএইচএফ জানিয়েছে, তারা রবিবার গাজার কেন্দ্রস্থলে একটি এবং দুপুরে রাফায় আরও দুটি স্থাপনা খুলে দিয়েছে।
ইসরায়েল সম্প্রতি তিন মাসের অবরোধের পরে গাজায় সীমিত ত্রাণের অনুমতি দেওয়া শুরু করেছে। তারা জিএইচএফের মাধ্যমে বিতরণকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। কিন্তু প্রথম সপ্তাহে বেশ কয়েকটি প্রাণঘাতী ঘটনা ঘটায় বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে ফাউন্ডেশনটি।
মে মাসের শেষের দিকে ইসরায়েল সমর্থিত জিএইচএফ গাজায় ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র পরিচালনা শুরু করার পর থেকে ইসরায়েলি গুলিতে ঘটনাস্থলের কাছে ১২০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালক সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, জেনারেটরে জ্বালানি সরবরাহ না করা হলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতালগুলো ‘কবরস্থানে’ পরিণত হতে পারে। এদিকে গাজাগামী মানবিক ত্রাণবাহী জাহাজ মাদলিনকে পৌঁছাতে না দিতে সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী।